০৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এনআরবিসি ব্যাংকের ৭ উদ্যোক্তাকে তলব করেছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৫৬৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি জালিয়াতির তদন্তের সঙ্গে জড়িত সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারদের শুনানির জন্য ডেকেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওই সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারদের আগামী ১৩ জানুয়ারি, বেলা ২:৩০ টায় বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বিএসইসি একটি আদেশ জারি করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, টাকা পাচারের অপরাধে বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার এমএ মান্নানের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে।

বিধি অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত শেয়ারের বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপরও আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ব্যাংকের পর্ষদের অনুমতি ছাড়া ওই শেয়ারগুলো ‘ব্লক মার্কেটে’ বিক্রি করা হয়।

বেআইনীভাবে এসব শেয়ার কিনে নেন ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অতনান ইমাম, এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মনোনীত ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে এস আলম গ্রুপ

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্তের উদ্দেশ্যে। এতে ব্যাংকের সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন, সারওয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, শাখাওয়াত আলী, তোহেল আহমেদ এবং সেলিনা ইসলাম।

তদন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক এমএ মান্নানের ৪ কোটি ৭০ লাখ শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে। এ শেয়ারগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে, এসব শেয়ার বিক্রির জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে কখনও আলোচনা করা হয়নি। ফলে এ জালিয়াতি তদন্তের প্রয়োজন পদার্পন করেছে এবং বিএসইসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।

এছাড়া, ২০২৩ সালের অক্টোবরে এমএ মান্নানের বাজেয়াপ্ত শেয়ারগুলি আইন বহির্ভূতভাবে ব্লক মার্কেটে বিক্রি করা হয়, যা প্রত্যক্ষভাবে শেয়ারবাজারের নিয়ম ও বিধিকে লঙ্ঘন করে। বিএসইসি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নেয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

এনআরবিসি ব্যাংকের ৭ উদ্যোক্তাকে তলব করেছে বিএসইসি

আপডেট: ১০:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের একটি জালিয়াতির তদন্তের সঙ্গে জড়িত সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারদের শুনানির জন্য ডেকেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ওই সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারদের আগামী ১৩ জানুয়ারি, বেলা ২:৩০ টায় বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বিএসইসি একটি আদেশ জারি করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, টাকা পাচারের অপরাধে বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার এমএ মান্নানের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে।

বিধি অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত শেয়ারের বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপরও আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ব্যাংকের পর্ষদের অনুমতি ছাড়া ওই শেয়ারগুলো ‘ব্লক মার্কেটে’ বিক্রি করা হয়।

বেআইনীভাবে এসব শেয়ার কিনে নেন ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অতনান ইমাম, এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মনোনীত ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে এস আলম গ্রুপ

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্তের উদ্দেশ্যে। এতে ব্যাংকের সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন, সারওয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, শাখাওয়াত আলী, তোহেল আহমেদ এবং সেলিনা ইসলাম।

তদন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক এমএ মান্নানের ৪ কোটি ৭০ লাখ শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে। এ শেয়ারগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে, এসব শেয়ার বিক্রির জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নেয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে কখনও আলোচনা করা হয়নি। ফলে এ জালিয়াতি তদন্তের প্রয়োজন পদার্পন করেছে এবং বিএসইসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।

এছাড়া, ২০২৩ সালের অক্টোবরে এমএ মান্নানের বাজেয়াপ্ত শেয়ারগুলি আইন বহির্ভূতভাবে ব্লক মার্কেটে বিক্রি করা হয়, যা প্রত্যক্ষভাবে শেয়ারবাজারের নিয়ম ও বিধিকে লঙ্ঘন করে। বিএসইসি এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নেয়।

ঢাকা/এসএইচ