০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এনবিআর আন্দোলনে রাজস্ব ক্ষতি নিরূপণে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১০৩০২ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি তথা শাটডাউনের ফলে রাজস্ব ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নয় সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ ‍জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব রেদোয়ান আহমদের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১)। আর কমিটিতে অন্যান্য বিভাগ থেকে একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে কোনো নাম প্রস্তাব না করে পদ ও বিভাগের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

সদস্য হিসাবে যারা থাকবেন— অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (অর্থ বিভাগ), উপসচিব (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), উপসচিব (শিল্প মন্ত্রণালয়), উপসচিব (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির কার্যপরিধির বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে- গত ২৮-২৯ জুন ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বন্ধ থাকার কারণে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ ২ মাসব্যাপী কাস্টমস, ভ্যাট ও কর বিভাগের কর্মসূচির কারণে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ ও কর অঞ্চলে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; কর্মসূচির ফলে শুল্কায়ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত এবং দেশের স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ নির্ধারণ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে বেড়েছে ডলারের মান ও ট্রেজারি বন্ডের সুদহার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামের দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ২৬ মে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতির আন্দোলন করেন এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। ২৫ মে রাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ২৬ মে কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। মাঝের সময় কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সমঝোতা না হওয়ায় গত ২১ জুন সংবাদ সম্মেলনে করে দ্বিতীয় দফায় ২৩ জুন থেকে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তাদের দাবির অন্যতম ইস্যু ছিল সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ। সর্বশেষ গত ২৯ জুন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধে কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

এনবিআর আন্দোলনে রাজস্ব ক্ষতি নিরূপণে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন

আপডেট: ০৩:২০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি তথা শাটডাউনের ফলে রাজস্ব ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নয় সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ ‍জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব রেদোয়ান আহমদের সই করা চিঠির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব সৈয়দ রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১)। আর কমিটিতে অন্যান্য বিভাগ থেকে একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে কোনো নাম প্রস্তাব না করে পদ ও বিভাগের নাম উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

সদস্য হিসাবে যারা থাকবেন— অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (অর্থ বিভাগ), উপসচিব (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়), উপসচিব (শিল্প মন্ত্রণালয়), উপসচিব (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটির কার্যপরিধির বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে- গত ২৮-২৯ জুন ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বন্ধ থাকার কারণে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; দীর্ঘ ২ মাসব্যাপী কাস্টমস, ভ্যাট ও কর বিভাগের কর্মসূচির কারণে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, কাস্টম হাউস, কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ ও কর অঞ্চলে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ; কর্মসূচির ফলে শুল্কায়ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত এবং দেশের স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ নির্ধারণ।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাজারে বেড়েছে ডলারের মান ও ট্রেজারি বন্ডের সুদহার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামের দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ২৬ মে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতির আন্দোলন করেন এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। ২৫ মে রাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ২৬ মে কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। মাঝের সময় কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সমঝোতা না হওয়ায় গত ২১ জুন সংবাদ সম্মেলনে করে দ্বিতীয় দফায় ২৩ জুন থেকে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তাদের দাবির অন্যতম ইস্যু ছিল সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কার ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ। সর্বশেষ গত ২৯ জুন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধে কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

ঢাকা/এসএইচ