এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে

- আপডেট: ০৬:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
- / ১০৪০৭ বার দেখা হয়েছে
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে। এপ্রিলে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। মার্চে এর হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আজ বুধবার (০৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের তথ্য থেকে মূল্যস্ফীতি কমার কথা জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুই অংকের কাছাকাছি ছিল। মার্চের মতোই এপ্রিলেও এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর খাদ্যে মূল্যস্ফীতি মার্চের ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ থেকে কমে এপ্রিলে হয় ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
গত বছরের এপ্রিলে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। এর পর আগস্টে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় কমেছে সাড়ে ১৬ শতাংশ
সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমলেও বাজারে জিনিসপত্রের দামে কোনো স্বস্তি নেই। বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে বলে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন। অনেক পণ্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কেজিতে ১০৪ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১০৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। তবে রমজান মাসে ক্রেতাদের ১২০-১২৫ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হয়েছে। এই সপ্তাহে ঢাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ গ্রামের তুলনায় এখন শহরের মানুষের ওপর বেশি। এপ্রিলে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এই মাসে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
শহরে এপ্রিলে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ ছিল। আর শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ঢাকা/টিএ