১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

এফডিআর ফেরত নিয়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে তদন্তে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / ১০৪২৭ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এফএফআইএল) এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্তের মুখে। স্টার্লিং ক্রিয়েশনস লিমিটেডের ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) বাবদ পাওনা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অধীনে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন, সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।

তদন্ত কমিটি ফারইস্ট ফাইন্যান্সের স্টার্লিংয়ের পাওনা এফডিআর পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা ছিল কিনা এবং থাকলে কেন তা পরিশোধ করা হয়নি, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এছাড়াও, কোনো সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, স্টার্লিং আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল কিনা এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট দায়বদ্ধতা ও গভর্নেন্স কোড যথাযথভাবে পালন হয়েছে কিনা তাও বিশ্লেষণ করা হবে। বিএসইসি পুনর্গঠিত ফারইস্টের পরিচালনা পর্ষদ এই পাওনা পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা, তাও তদন্তের আওতায় আসবে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০১৬ সালের পর আর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণীতেও ডিভিডেন্ডের কোনো সুপারিশ আসেনি। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির ঠিকানা এখন ‘জেড’ ক্যাটাগরির। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে ৩৯.৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২.৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬৯ শতাংশ শেয়ার।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের পাহারাদার আইসিবি এখন নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বিপাকে!

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে চরম আর্থিক সংকটে থাকা ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৮২১ কোটি টাকার বেশি দীর্ঘমেয়াদি ঋণে ডুবে আছে। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ এবং মূলধন ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত করার সুপারিশ দিয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

এফডিআর ফেরত নিয়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের বিরুদ্ধে তদন্তে বিএসইসি

আপডেট: ০৩:৫২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এফএফআইএল) এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তদন্তের মুখে। স্টার্লিং ক্রিয়েশনস লিমিটেডের ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) বাবদ পাওনা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অধীনে গঠিত এই কমিটিকে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক সুলতানা পারভীন, সহকারী পরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম।

তদন্ত কমিটি ফারইস্ট ফাইন্যান্সের স্টার্লিংয়ের পাওনা এফডিআর পরিশোধের আর্থিক সক্ষমতা ছিল কিনা এবং থাকলে কেন তা পরিশোধ করা হয়নি, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এছাড়াও, কোনো সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, স্টার্লিং আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল কিনা এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট দায়বদ্ধতা ও গভর্নেন্স কোড যথাযথভাবে পালন হয়েছে কিনা তাও বিশ্লেষণ করা হবে। বিএসইসি পুনর্গঠিত ফারইস্টের পরিচালনা পর্ষদ এই পাওনা পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা, তাও তদন্তের আওতায় আসবে।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০১৬ সালের পর আর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক বিবরণীতেও ডিভিডেন্ডের কোনো সুপারিশ আসেনি। ২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির ঠিকানা এখন ‘জেড’ ক্যাটাগরির। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তাদের হাতে রয়েছে ৩৯.৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২.৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৬৯ শতাংশ শেয়ার।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের পাহারাদার আইসিবি এখন নিজের অস্তিত্ব নিয়ে বিপাকে!

বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যৌথ একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদনে ফারইস্ট ফাইন্যান্সকে চরম আর্থিক সংকটে থাকা ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ৮২১ কোটি টাকার বেশি দীর্ঘমেয়াদি ঋণে ডুবে আছে। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে না পারা, উচ্চ খেলাপি ঋণ এবং মূলধন ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূত করার সুপারিশ দিয়েছে।

ঢাকা/এসএইচ