এলএনজি আমদানির জন্য ৩৫ কোটি ডলার ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের

- আপডেট: ১০:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১০৩৪৪ বার দেখা হয়েছে
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বাংলাদেশকে ৩৫ কোটি ডলারের ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বৈদেশিক অর্থায়নগুলোর চেয়ে এই ঋণের শর্ত অনেকটাই সহজ হবে। এতে ২০২৫ সালজুড়ে দেশের দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির প্রয়োজন মেটাতে নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হবে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
‘রিভলভিং লেটার অব ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি’ নামে এই ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি সংস্থা- মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (মিগা)। সংস্থাটি পেট্রোবাংলার পক্ষে দেশি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জারি করা এলসি বা ঋণপত্রে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেবে, যার সুবাদে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে এলএনজি সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
সংশ্লিষ্ট নথিতে দেখা যাচ্ছে, এলএনজি আমদানির জন্য বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি) যে হারে সুদ নেয়—এই ঋণ গ্যারান্টি তার চেয়েও এক শতাংশীয় পয়েন্ট কম হবে।
প্রস্তাবে ঋণ গ্যারান্টি ৩৫ কোটি ডলারের চেয়েও বেশি করার সুযোগ রয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের কাভারেজ কম থাকবে।
ইআরডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেন, রিভলভিং লেটার অব ক্রেডিট হচ্ছে এক ধরনের ব্যাংক গ্যারান্টি— যা কোনো ক্রেতাকে প্রতিবার নতুন গ্যারান্টির প্রয়োজন ছাড়াই পণ্য বা পরিষেবার জন্য একাধিক পেমেন্ট করতে দেয়। একবার তহবিলের ব্যবহার সম্পন্ন হলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্যারান্টি নবায়ন হয়ে যাবে— যাতে ক্রেতা অর্থ পরিশোধ অব্যাহত রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় মিগা’র প্রস্তাবটি ইতিবাচক। এতে বাংলাদেশের এলএনজি আমদানির অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হবে। তবে বিশ্বব্যাংক যাতে তাদের আপফ্রন্ট ফি এবং গ্যারান্টি ফি আরও কমায় এ বিষয়ে ইআরডির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হবে।
এই গ্যারান্টির আওতায়, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্ডার্টসহ বিদেশি কয়েকটি ব্যাংকে এলসি খুলতে পারবে। তবে কোন কোন ব্যাংকে এলসি খোলা হবে— তা চুড়ান্ত হবে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ সম্মতিতে।
পাশাপাশি এসব এলসির বিপরীতে পেট্রোবাংলা ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিতে পারবে। এলসির মেয়াদ থাকবে ৩ মাস, আর ব্যাংকের ঋণের অর্থ পরিশোধের মেয়াদ হবে ৯ মাস।
মিগার এই প্রস্তাবের পরে জ্বালানি বিভাগ গ্যারান্টির পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার যায় কিনা— সে বিষয়ে ইআরডির সাথে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি দেশীয় ব্যাংক থেকে এলসি করা সুযোগও চায় জ্বালানি বিভাগ। প্রাথমিকভাবে এলএনজি আমদানির জন্য এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এই গ্যারান্টি জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
ঢাকা/এসএইচ