০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • / ১০৫২৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) করোনা মহামারির আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জোরালো প্রবৃদ্ধি ও বিপুল উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২১ সালে। বর্তমানে সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে ‘বিবি মাইনাস’ দিয়েছে। আর স্বল্পমেয়াদে ‘বি’ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর এসঅ্যান্ডপির বার্ষিক রেটিং পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ ধরনের ঋণমানকে ‘স্থিতিশীল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ ঋণমান প্রকাশ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশের প্রাপ্ত রেটিং স্বল্প ব্যয়ে দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের নিশ্চয়তা দেয় এবং পুনঃঅর্থায়ন ঝুঁকিকে কমায়। রেটিং দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের মাথাপিছু আয়, রাজস্ব আদায় এবং সুদ পরিশোধসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

এসঅ্যান্ডপি মনে করে, আগামী তিন অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ শতাংশ। বিদেশে কর্মরত শ্রমশক্তি ও রপ্তানি শিল্পের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিক থাকতে পারে। বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগালে এবং নীত সামঞ্জস্যতা আনতে পারলে আগামী এক বছর সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলা করতে পারবে।

তবে নিট বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ বা অর্থায়নের পরিমাণ যদি চলতি হিসাবের শতভাগ ছাড়িয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ঋণমানের অবনমন হতে পারে। অন্যদিকে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ যদি বাজেট ঘাটতি কমাতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে যদি উন্নতি আনতে পারে, সে ক্ষেত্রে ঋণমান বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন: সহজ শর্তে দেশে আনা যাবে অপ্রদর্শিত অর্থ

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

এসঅ্যান্ডপির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল

আপডেট: ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) করোনা মহামারির আর্থিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও জোরালো প্রবৃদ্ধি ও বিপুল উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল ২০২১ সালে। বর্তমানে সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে ‘বিবি মাইনাস’ দিয়েছে। আর স্বল্পমেয়াদে ‘বি’ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর এসঅ্যান্ডপির বার্ষিক রেটিং পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ ধরনের ঋণমানকে ‘স্থিতিশীল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ ঋণমান প্রকাশ করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বাংলাদেশের প্রাপ্ত রেটিং স্বল্প ব্যয়ে দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের নিশ্চয়তা দেয় এবং পুনঃঅর্থায়ন ঝুঁকিকে কমায়। রেটিং দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের মাথাপিছু আয়, রাজস্ব আদায় এবং সুদ পরিশোধসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

এসঅ্যান্ডপি মনে করে, আগামী তিন অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ শতাংশ। বিদেশে কর্মরত শ্রমশক্তি ও রপ্তানি শিল্পের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিক থাকতে পারে। বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা কাজে লাগালে এবং নীত সামঞ্জস্যতা আনতে পারলে আগামী এক বছর সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলা করতে পারবে।

তবে নিট বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ বা অর্থায়নের পরিমাণ যদি চলতি হিসাবের শতভাগ ছাড়িয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ঋণমানের অবনমন হতে পারে। অন্যদিকে, রাজস্ব আয় বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ যদি বাজেট ঘাটতি কমাতে পারে এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে যদি উন্নতি আনতে পারে, সে ক্ষেত্রে ঋণমান বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন: সহজ শর্তে দেশে আনা যাবে অপ্রদর্শিত অর্থ

ঢাকা/এসএ