০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এসএমই মার্কেট প্লাটফর্মের বৈষম্য দূরীকরণে বিনিয়োগকারীদের ১৩ দফা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০৩৩২ বার দেখা হয়েছে

এসএমই মার্কেট প্লাটফর্মের বৈষম্য দূরীকরণে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ আবেদন জানান। আবেদন তারা এসএমই প্লাটফর্মে বৈষম্য দূরীকরণে যে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হলো-

১. এসএমই মার্কেটের সার্কিট ব্রেকার মূল মার্কেটের সার্কিট ব্রেকার এর মতো করতে হবে। এটা না হলে এসএমই প্লাটফর্মের শেয়ার বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

২. সব ধরনের বিনিয়োগকারীকে এসএমই মার্কেটের শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে হবে। ৩০ লক্ষ টাকা না থাকলে বা কোয়াটার শেষে কোয়ালিফাইড না হলে এসএমই কেনা যাবে না এই বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে।

৩. যে সকল কোম্পানি নির্দিষ্ট বা নির্ধারিত সময়ের পরেও ডিভিডেন্ট বিতরণ করেনি তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন আইসিবির চেয়ারম্যান সুবর্ন বড়ুয়া

৪. যে সকল ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কোম্পানি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই সকল কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কোম্পানি সচিব কে পরিবর্তন করে যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. যে সকল কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মূল মার্কেটের কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের সমান তাদেরকে সরাসরি মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. যে সকল কোম্পানি সিকিউরিটিরজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সকল ধরনের কম্প্লাইন্স মেইনটেইন করেছে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. যে সকল এসএমই মার্কেটের শেয়ার পরপর তিন বছর ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিয়েছে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

৯. এসএমই মার্কেটের শেয়ার লোনের আওতায় থাকলে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংক মূল মার্কেটের শেয়ার এর মত এসএমই শেয়ারে ও লোন প্রোভাইড করতে হবে।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতের বিশৃঙ্খলা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেঃ প্রধান উপদেষ্টা

১০. ওটিসি মার্কেট থেকে কোন শেয়ার এসএমই মার্কেটে আসার পর তারা যদি সব ধরনের কম্প্লাইন্স মেইনটেইন করে তাহলে তাদেরকে মূল মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ করে দিতে হবে।

১১. এসএমই প্লাটফর্মের সকল শেয়ারকে মূল মার্কেটের মত প্রতি কোয়ার্টার শেষে অথবা প্রতি ৬ মাস অন্তর বাধ্যতামূলক আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

১২. এসএমই মার্কেটের যে সকল কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কম আছে তারা যদি মনে করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে ব্যবসার খাতিরে তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে সেই সুযোগ করে দিতে হবে।

১৩. প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে পেইডআপ বানানো বা বাড়ানো হয়েছে এমন কোন শেয়ারকে এসএমই মার্কেটে লিস্টেড করা যাবে না।

বিনিয়োগকারীরা দাবিগুলো বিবেচনা পূর্বক বৈষম্য দূরীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

আবেদনপত্রে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ৭ জন বিনিয়োগকারী স্বাক্ষক করেন।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

এসএমই মার্কেট প্লাটফর্মের বৈষম্য দূরীকরণে বিনিয়োগকারীদের ১৩ দফা

আপডেট: ০৩:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

এসএমই মার্কেট প্লাটফর্মের বৈষম্য দূরীকরণে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ আবেদন জানান। আবেদন তারা এসএমই প্লাটফর্মে বৈষম্য দূরীকরণে যে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন সেগুলো হলো-

১. এসএমই মার্কেটের সার্কিট ব্রেকার মূল মার্কেটের সার্কিট ব্রেকার এর মতো করতে হবে। এটা না হলে এসএমই প্লাটফর্মের শেয়ার বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

২. সব ধরনের বিনিয়োগকারীকে এসএমই মার্কেটের শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে হবে। ৩০ লক্ষ টাকা না থাকলে বা কোয়াটার শেষে কোয়ালিফাইড না হলে এসএমই কেনা যাবে না এই বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে।

৩. যে সকল কোম্পানি নির্দিষ্ট বা নির্ধারিত সময়ের পরেও ডিভিডেন্ট বিতরণ করেনি তাদেরকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন আইসিবির চেয়ারম্যান সুবর্ন বড়ুয়া

৪. যে সকল ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কোম্পানি সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে ব্যর্থ হয়েছে সেই সকল কোম্পানির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কোম্পানি সচিব কে পরিবর্তন করে যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. যে সকল কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মূল মার্কেটের কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের সমান তাদেরকে সরাসরি মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. যে সকল কোম্পানি সিকিউরিটিরজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সকল ধরনের কম্প্লাইন্স মেইনটেইন করেছে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. যে সকল এসএমই মার্কেটের শেয়ার পরপর তিন বছর ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ট দিয়েছে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল মার্কেটে ট্রেড করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

৯. এসএমই মার্কেটের শেয়ার লোনের আওতায় থাকলে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংক মূল মার্কেটের শেয়ার এর মত এসএমই শেয়ারে ও লোন প্রোভাইড করতে হবে।

আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার ও ব্যাংক খাতের বিশৃঙ্খলা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেঃ প্রধান উপদেষ্টা

১০. ওটিসি মার্কেট থেকে কোন শেয়ার এসএমই মার্কেটে আসার পর তারা যদি সব ধরনের কম্প্লাইন্স মেইনটেইন করে তাহলে তাদেরকে মূল মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ করে দিতে হবে।

১১. এসএমই প্লাটফর্মের সকল শেয়ারকে মূল মার্কেটের মত প্রতি কোয়ার্টার শেষে অথবা প্রতি ৬ মাস অন্তর বাধ্যতামূলক আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

১২. এসএমই মার্কেটের যে সকল কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কম আছে তারা যদি মনে করে পরিশোধিত মূলধন বাড়াবে ব্যবসার খাতিরে তাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে সেই সুযোগ করে দিতে হবে।

১৩. প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে পেইডআপ বানানো বা বাড়ানো হয়েছে এমন কোন শেয়ারকে এসএমই মার্কেটে লিস্টেড করা যাবে না।

বিনিয়োগকারীরা দাবিগুলো বিবেচনা পূর্বক বৈষম্য দূরীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।

আবেদনপত্রে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে ৭ জন বিনিয়োগকারী স্বাক্ষক করেন।

ঢাকা/এসএইচ