কক্সবাজারে এসআইবিএলের সম্মেলন পরিকল্পনা নাকচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

- আপডেট: ১১:১১:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১০৩৪৮ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স করতে চেয়েছিল। তবে ব্যাংকটির সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ কনফারেন্স নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটিকে ঢাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে স্বল্প খরচে সম্মেলন আয়োজন করতে বলেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এর আগে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কক্সবাজারে সম্মেলন করার আবেদন করে চিঠি দিয়েছিল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বেওয়াচ হোটেলে বার্ষিক বিজনেস কনফারেন্স আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে ২৭০ জন অংশগ্রহণকারী থাকবে। ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া এ অনুষ্ঠানের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সাদাত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা কম খরচেই কক্সবাজারে বিজনেস কনফারেন্স করতে চেয়েছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিল বছরের শুরুতে প্রত্যেক শাখা ব্যবস্থাপকদের নিয়ে কনফারেন্সটা করতে পারলে, তারা নতুন উদ্যামে কাজ করতে পারবেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খরচ কমিয়ে আনতে কনফারেন্স ঢাকায় করতে বলেছে। আমরা ঢাকাতেই ভিন্ন তারিখে কনফারেন্স করব।’
গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। এ প্রক্রিয়ায় একজন উদ্যোক্তা শেয়ারধারীকে পরিচালক হিসেবে এবং চারজনকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পর্ষদ পুনর্গঠনের পর, ব্যাংকটির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তা, যাদের এস আলম গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল, তারা পদত্যাগ করেন। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যার ফলে ব্যাংকটি আর্থিক সংকটে পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় দুই বছর ধরে ব্যাংকটিকে সহায়তা হিসেবে টাকা ছাপিয়ে আসছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতনের পর ওই সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ব্যাংকটি তারল্য সংকটে পড়ে এবং গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ ছুটিতে যাচ্ছেন
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সহায়তার পর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সংকট কিছুটা কমলেও, গত আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে চরম সংকট অব্যাহত ছিল। তবে, গত অক্টোবরে দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যাংকটির তারল্য পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে, যার ফলে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের সুযোগ পেয়েছেন।
ঢাকা/টিএ