০৮:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকবে ব্যাংক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৪০৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী সপ্তাহে থেকে এক সপ্তাহের জন্য জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এমনকি সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জরুরি সেবা হিসেবেই দেখার কথা জানিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে নির্ভর করে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু থাকবে কি না। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আগেই জানিয়েছে, ব্যাংক চালু থাকলে বন্ধ হবে না পুঁজিবাজারও। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে (শুক্রবার) বলেন, “এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।”

লকডাউনের এক সপ্তাহ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব যে, এই এক সপ্তাহ মানুষজন একদম ঘরে থাকবে। সেভাবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলবে।” এবারের লকডাউনে যানবাহন তো বটেই, বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। আগামী রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এ পর্যায়ে ব্যাংক চলবে কি না- এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।”

তিনি বলেন, “এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। ব্যাংকের লেনদেন পরিবর্তন করায় পুঁজিবাজারের লেনদেনও পরিবর্তন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

কঠোর লকডাউনেও একই সময়সীমা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নও ছিল সিরাজুল ইসলামের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “রোববার সরকারের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।” তবে সীমিত আকারে হলেও ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখা হবে-এটি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কঠোর লকডাউনেও খোলা থাকবে ব্যাংক

আপডেট: ০১:২৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী সপ্তাহে থেকে এক সপ্তাহের জন্য জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান এমনকি সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রেখে কঠোর লকডাউন দেয়া হলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে জরুরি সেবা হিসেবেই দেখার কথা জানিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ব্যাংকের লেনদেনের সঙ্গে নির্ভর করে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালু থাকবে কি না। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আগেই জানিয়েছে, ব্যাংক চালু থাকলে বন্ধ হবে না পুঁজিবাজারও। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে (শুক্রবার) বলেন, “এটা কমপ্লিট লকডাউন, কঠোর লকডাউন। কোনো অফিস আদালত খোলা থাকবে না। সেখানে শুধু জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ থাকবে।”

লকডাউনের এক সপ্তাহ সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব যে, এই এক সপ্তাহ মানুষজন একদম ঘরে থাকবে। সেভাবে মানুষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকবে। এক সপ্তাহ কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলবে।” এবারের লকডাউনে যানবাহন তো বটেই, বন্ধ থাকবে সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। আগামী রোববার এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা হবে বলে জানান তিনি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

এ পর্যায়ে ব্যাংক চলবে কি না- এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ব্যাংক হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সেবা। এ সেবা দিতে আমরা বাধ্য এবং এটা চলমান রাখতে হবে।”

তিনি বলেন, “এ সংকটের মধ্যেও ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। কারণ, মানুষ ব্যাংকিং লেনদেন না করতে পারলে অন্যান্য সংকটে পড়বে। চিকিৎসার জন্যও ব্যাংকের টাকা দরকার। সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে সমন্বয় করে কীভাবে, কোন কৌশলে ব্যাংকিং সেবা দেয়া যায় সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। অফিসের অন্যান্য কার্যক্রম চলছে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। ব্যাংকের লেনদেন পরিবর্তন করায় পুঁজিবাজারের লেনদেনও পরিবর্তন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের লেনদেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটার পরিবর্তে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

কঠোর লকডাউনেও একই সময়সীমা থাকবে কি না- এমন প্রশ্নও ছিল সিরাজুল ইসলামের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “রোববার সরকারের নির্দেশনা জারি হওয়ার পর কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাব।” তবে সীমিত আকারে হলেও ব্যাংকের লেনদেন চালু রাখা হবে-এটি নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: