০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৪০১ বার দেখা হয়েছে

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি, লেখক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই মননশীল আধুনিক কবি বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে রবিবার (৬ আগস্ট) বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মারা যান কবি মোহাম্মদ রফিক। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কবি মোহাম্মদ রফিক বরিশালে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঢাকায় ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে

পরিবারের পক্ষে কবির ভাই মোহাম্মদ তারেক গণমাধ্যমকে বলেন, কবিকে ঢাকায় আনা হবে না। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটে। তিনি পেশাগত জীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’। কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩), ‘কালাপানি’ (২০০৬), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৭), ‘নোনাঝাউ’ (২০০৮), ‘দোমাটির মুখ’ (২০০৯), ‘ত্রয়ী’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২’ (২০১০)।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেট: ০২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি, লেখক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই মননশীল আধুনিক কবি বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউভ

প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে রবিবার (৬ আগস্ট) বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে মারা যান কবি মোহাম্মদ রফিক। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কবি মোহাম্মদ রফিক বরিশালে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পথে গাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঢাকায় ফেরার পথেই তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন হচ্ছে

পরিবারের পক্ষে কবির ভাই মোহাম্মদ তারেক গণমাধ্যমকে বলেন, কবিকে ঢাকায় আনা হবে না। তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটে। তিনি পেশাগত জীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’। কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩), ‘কালাপানি’ (২০০৬), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৭), ‘নোনাঝাউ’ (২০০৮), ‘দোমাটির মুখ’ (২০০৯), ‘ত্রয়ী’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২’ (২০১০)।

ঢাকা/টিএ