০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কমিটি বিএসইসি’র আইনে, বেতন-ভাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / ১০৪৭১ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোকে (NBFI) প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ‌অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড-২০১৮’ অনুসারে বিমেষ কমিটি (Nomination and Remuneration Committee-NRC) গঠন করতে হবে। তবে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সংশ্লিষ্ট সার্কুলার অনুসারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিএসইসি’র ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড-২০১৮’ এ নিয়োগ ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ কমিটি (এনআরসি) গঠন ও কার্যপরিধির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে উক্ত কোডের এনআরসি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।

এক্ষেত্রে নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে নেওয়া সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্ষদ সভায় অনুমোদন করতে হবে। তবে, ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক, স্বতন্ত্র পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তদনিম্ন দু’স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিযুক্তি বা নিয়োগ, দায়িত্ব-কর্তব্য, সম্মানী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা, উৎসাহ বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হলেন কামরুজ্জামান

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ২৫ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করেছিলো। এতে বলা হয়, উৎসব ভাতা হবে সর্বোচ্চ দুইটি, প্রতিটি এক মাসের মূল বেতনের অধিক হবে না। লীভ-ফেয়ার অ্যাসিস্টেন্স এক মাসের মূল বেতনের অধিক হবে না। প্রধান নির্বাহীর নিয়োগপত্রে উল্লিখিত চাকরির মেয়াদকালে বেতন-ভাতাদির কোনো শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না মর্মে শর্ত আরোপ করতে হবে। পুনঃনিযুক্তির ক্ষেত্রে কর্ম-উৎকর্ষতা বিবেচনায় বেতন-ভাতাদির পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অন্য কোনো পরোক্ষ সুবিধা যেমন – ফাইন্যান্স কোম্পানির মুনাফার বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ, কমিশন, ক্লাবের জন্য কোনো চাঁদা বা খরচ, বিদেশে চিকিৎসা খরচ বা বাৎসরিক মেডিকেল চেকআপ বাবদ খরচ, বিদেশে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচ, ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণ ভাতা প্রাপ্য হবেন না। তবে, তাঁর নিজের জন্য বিদেশে (এশিয়ার যেকোনো দেশে) চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের চিকিৎসা যথেষ্ট নয় মর্মে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে তিনি বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তি বিধায় চুক্তির মেয়াদকালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি সুবিধা, নববর্ষ ভাতা, ছুটি নগদায়ন, সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ড, বেনোভোলেন্ট ফান্ড সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বেতন-ভাতাদির বিপরীতে ফাইন্যান্স কোম্পানি কোনো আয়কর প্রদান করবে না অর্থাৎ নিয়োগকৃত ব্যক্তিকে নিজ উৎস হতে আয়কর প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগের প্রস্তাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রাপ্য বার্ষিক ছুটির পরিমাণ (ছুটির ধরনসহ) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

কমিটি বিএসইসি’র আইনে, বেতন-ভাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে

আপডেট: ০৬:৩০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোকে (NBFI) প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ ‌অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড-২০১৮’ অনুসারে বিমেষ কমিটি (Nomination and Remuneration Committee-NRC) গঠন করতে হবে। তবে বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সংশ্লিষ্ট সার্কুলার অনুসারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিএসইসি’র ‘কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড-২০১৮’ এ নিয়োগ ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ কমিটি (এনআরসি) গঠন ও কার্যপরিধির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে উক্ত কোডের এনআরসি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে সম্পাদিত হবে।

এক্ষেত্রে নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে নেওয়া সিদ্ধান্ত পরবর্তী পর্ষদ সভায় অনুমোদন করতে হবে। তবে, ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক, স্বতন্ত্র পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তদনিম্ন দু’স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নিযুক্তি বা নিয়োগ, দায়িত্ব-কর্তব্য, সম্মানী, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা, উৎসাহ বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুন: লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ভারপ্রাপ্ত এমডি হলেন কামরুজ্জামান

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ২৫ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করেছিলো। এতে বলা হয়, উৎসব ভাতা হবে সর্বোচ্চ দুইটি, প্রতিটি এক মাসের মূল বেতনের অধিক হবে না। লীভ-ফেয়ার অ্যাসিস্টেন্স এক মাসের মূল বেতনের অধিক হবে না। প্রধান নির্বাহীর নিয়োগপত্রে উল্লিখিত চাকরির মেয়াদকালে বেতন-ভাতাদির কোনো শর্ত পরিবর্তন করা যাবে না মর্মে শর্ত আরোপ করতে হবে। পুনঃনিযুক্তির ক্ষেত্রে কর্ম-উৎকর্ষতা বিবেচনায় বেতন-ভাতাদির পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অন্য কোনো পরোক্ষ সুবিধা যেমন – ফাইন্যান্স কোম্পানির মুনাফার বিপরীতে কোনো লভ্যাংশ, কমিশন, ক্লাবের জন্য কোনো চাঁদা বা খরচ, বিদেশে চিকিৎসা খরচ বা বাৎসরিক মেডিকেল চেকআপ বাবদ খরচ, বিদেশে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা খরচ, ব্যক্তিগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিজের বা পরিবারের সদস্যদের বিদেশ ভ্রমণ ভাতা প্রাপ্য হবেন না। তবে, তাঁর নিজের জন্য বিদেশে (এশিয়ার যেকোনো দেশে) চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের চিকিৎসা যথেষ্ট নয় মর্মে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে তিনি বিদেশে চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

এছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিযুক্তি বিধায় চুক্তির মেয়াদকালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি সুবিধা, নববর্ষ ভাতা, ছুটি নগদায়ন, সুপারঅ্যানুয়েশন ফান্ড, বেনোভোলেন্ট ফান্ড সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বেতন-ভাতাদির বিপরীতে ফাইন্যান্স কোম্পানি কোনো আয়কর প্রদান করবে না অর্থাৎ নিয়োগকৃত ব্যক্তিকে নিজ উৎস হতে আয়কর প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগের প্রস্তাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রাপ্য বার্ষিক ছুটির পরিমাণ (ছুটির ধরনসহ) স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

ঢাকা/এসএইচ