০১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:২৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / ১০২৪৬ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চাভিলাষী রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করহার বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ছোট উদ্যোক্তারা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেলেও বাড়ানো হচ্ছে না করমুক্ত আয়সীমা। তাদের মতে, এখন সময় এসেছে বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ষাট জন শ্রমিকের কাজের জায়গা তৈরি করেছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তসলিমা মিজি। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি রফতানিও করেন। নানা প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া তসলিমার চাওয়া – আসছে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হোক।

তিনি বলেন, এটা বাড়ানো হলে বাঁচবে অর্থ, যা খরচ করা যাবে বিনিয়োগ হিসেবে।

আরও পড়ুন: মূলধনি যন্ত্রে শুল্ক বসছে

একই চাওয়া বেসরকারি চাকরিজীবী শান্ত রায়েরও। তিনি জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির যাঁতাকলে পিষ্ট জীবনযাত্রা। তাই প্রয়োজন করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর।

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপর কোনো কর ছিল না। তবে পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ করসহ সর্বোচ্চ ছিল ২৫ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কম আয়ের মানুষদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো উচিত।

অর্থনীতিবিদ ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, ২৫ শতাংশের আয়করের হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা যেতে পারে। যাতে কম আয়ের মানুষদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো সম্ভব।

বিগত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ১০ বছরে হয় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হলে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত তা বহাল রাখা হয়।

তবে চলতি অর্থবছরে আসে পরিবর্তন। পুরুষের ক্ষেত্রে এ সীমা করা হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা, আর মহিলার জন্য ৪ লাখ টাকা। আয়কর দিতে হচ্ছে অন্যদেরও। এ পরিবর্তনের পরও চলতি মাসে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮৯ শতাংশে। এমন পরিস্থিতিতে করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি সাধারণ মানুষেরও।

এদিকে, নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলছে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। এটি তাদের জন্য ভালো।

উল্লেখ্য, প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যে এবার এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএউচ

শেয়ার করুন

x

করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের

আপডেট: ০২:২৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উচ্চাভিলাষী রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করহার বাড়ালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন ছোট উদ্যোক্তারা। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেলেও বাড়ানো হচ্ছে না করমুক্ত আয়সীমা। তাদের মতে, এখন সময় এসেছে বিষয়টির দিকে নজর দেয়ার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ষাট জন শ্রমিকের কাজের জায়গা তৈরি করেছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তসলিমা মিজি। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি রফতানিও করেন। নানা প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া তসলিমার চাওয়া – আসছে বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হোক।

তিনি বলেন, এটা বাড়ানো হলে বাঁচবে অর্থ, যা খরচ করা যাবে বিনিয়োগ হিসেবে।

আরও পড়ুন: মূলধনি যন্ত্রে শুল্ক বসছে

একই চাওয়া বেসরকারি চাকরিজীবী শান্ত রায়েরও। তিনি জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির যাঁতাকলে পিষ্ট জীবনযাত্রা। তাই প্রয়োজন করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর।

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) আয়ের প্রথম সাড়ে ৩ লাখ টাকার ওপর কোনো কর ছিল না। তবে পরবর্তী ১ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ করসহ সর্বোচ্চ ছিল ২৫ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কম আয়ের মানুষদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো উচিত।

অর্থনীতিবিদ ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, ২৫ শতাংশের আয়করের হার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা যেতে পারে। যাতে কম আয়ের মানুষদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো সম্ভব।

বিগত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ১০ বছরে হয় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হলে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত তা বহাল রাখা হয়।

তবে চলতি অর্থবছরে আসে পরিবর্তন। পুরুষের ক্ষেত্রে এ সীমা করা হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা, আর মহিলার জন্য ৪ লাখ টাকা। আয়কর দিতে হচ্ছে অন্যদেরও। এ পরিবর্তনের পরও চলতি মাসে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮৯ শতাংশে। এমন পরিস্থিতিতে করমুক্ত আয়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি সাধারণ মানুষেরও।

এদিকে, নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন বলছে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন। এটি তাদের জন্য ভালো।

উল্লেখ্য, প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যে এবার এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএউচ