করোনা মহামারিতে আসছে বিশাল ঘাটতির বাজেট

- আপডেট: ০৮:২৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১
- / ১০৩৮২ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয়ে ভাটা পড়ায় সরকারি ব্যয় নির্বাহে আগামী বাজেটে বিশাল ঘাটতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিণতিতে এবারও বেশি ঋণ করে বিশাল ঘাটতি বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। আর এই ধারের বড় একটি অংশ আসছে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে।
বিদ্যমান আর্থিক ব্যবস্থাপনা ২০০৯ আইনানুযায়ী, জিডিপির পাঁচ শতাংশ ঘাটতি ধরে বাজেট তৈরির কথা উল্লেখ আছে এবং সে অনুযায়ী এতদিন বাজেট প্রণয়ন করে আসছে সরকার।
কিন্তু করোনাকালীন এ নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে বাজেট করছে সরকার। যে অর্থবছরটি শেষ হতে যাচ্ছে, তাতে ঘাটতি ধরা হয়েছে (আয় ও ব্যয়ের পার্থক্য) ১ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ছয় শতাংশের কাছাকাছি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি আরও বেশি প্রাক্কলনের প্রস্তাব করা হচ্ছে। এর পরিমাণ হতে পারে ২ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ।
বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, করোনাকালে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশি খরচের লক্ষ্য নিয়ে বিশাল ঘাটতি বাজেট করা হচ্ছে।
নতুন বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ধার বা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৯৩ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সংগ্রহ করে ঘাটতি মেটানো হবে।
যে অর্থবছরটি শেষ হতে যাচ্ছে, তাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশি উৎস থেকে অর্থের যোগান দেয় সরকার। আবার অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ঋণ নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আগামী অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
ঢাকা/জেএইচ