০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি: অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • / ১০২০৬ বার দেখা হয়েছে

কোটা বাতিলের দাবিতে একদিকে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে চলছে পেনশন সংক্রান্ত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতি। চলমান এ আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। একই পথে হেঁটেছে দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বন্ধ রয়েছে একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষা, স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। সেবা মিলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে।

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে চলমান এ কর্মবিরতির মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মিলিত হয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির প্রতি সংহতি জানান এবং অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তারা অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।

আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ফের জড়ো হচ্ছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কর্মচারীদের নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অবিলম্বে এই পেনশন নীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয় তা আমরা জানি। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাদের মতো কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান। অবিলম্বে নতুন পেনশন নীতি বাতিল করুন।’

গত ৩০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ-কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকে প্রশাসনিক ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বিরত রয়েছেন শিক্ষকরা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি: অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

আপডেট: ০৪:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

কোটা বাতিলের দাবিতে একদিকে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে চলছে পেনশন সংক্রান্ত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতি। চলমান এ আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। একই পথে হেঁটেছে দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

বন্ধ রয়েছে একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষা, স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। সেবা মিলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে।

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে চলমান এ কর্মবিরতির মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মিলিত হয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতির প্রতি সংহতি জানান এবং অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তারা অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’।

আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে ফের জড়ো হচ্ছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কর্মচারীদের নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অবিলম্বে এই পেনশন নীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয় তা আমরা জানি। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাদের মতো কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান। অবিলম্বে নতুন পেনশন নীতি বাতিল করুন।’

গত ৩০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ-কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ওই দিন থেকে প্রশাসনিক ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বিরত রয়েছেন শিক্ষকরা।

ঢাকা/এসএইচ