০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

কিস্তির অর্ধেক পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ১০৪১২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের আবারও বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মেয়াদি ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকতে আবারও সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ এপ্রিল নিয়মিত থাকা ঋণের এপ্রিল–জুন সময়ের কিস্তির ৫০ শতাংশ দিলে তাকে আর খেলাপি করা যাবে না। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছর কোনো কিস্তি না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। ২০২১ সালে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ১৫ শতাংশ দিলে নিয়মিত ছিল। এরপর রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গতবছরের শেষ প্রান্তিকে একজনের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ৫০ শতাংশ দিলে খেলাপি হয়নি। এরকম ছাড়ের সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যাংক আদায় না করেও খেলাপি কম দেখেয়েছিল। তবে ছাড় উঠে যাওয়ার পরই জানুয়ারি–মার্চ সময়ে খেলাপি ঋণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা দির্ঘ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য ও পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে। এতে করে ঋণ গ্রহীতারা প্রদেয় কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধে অসুবিধার মুখে পড়ছেন। এরকম পরিস্থিতে উৎপাদন ও সেবা খাতসহ সকল ব্যবসা চলমান রাখার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি বজায় রাখতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণসহ গত ১ এপ্রিল অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণের বিপরীতে এপ্রিল–জুন সময়ে প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে তা খেলাপি করা যাবে না। এসময়ে প্রদেয় কিস্তির বাকি অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমকিস্তিতে অথবা এক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা নেওয়া ঋণে কোনো ধরনের দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে, পুনঃতপশিলের মাধ্যমে নিয়মিত থাকা ঋণের জন্যও এ সার্কুলারের আওতায় প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে। ইসলামী শরীয়াহ্‌ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিতে পারবে। আর সুবিধা পাওয়া ঋণে যে পরিমাণ সুদ নগদে আদায় হবে তা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কিস্তির অর্ধেক পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ

আপডেট: ০৬:৪৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের আবারও বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মেয়াদি ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকতে আবারও সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ এপ্রিল নিয়মিত থাকা ঋণের এপ্রিল–জুন সময়ের কিস্তির ৫০ শতাংশ দিলে তাকে আর খেলাপি করা যাবে না। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছর কোনো কিস্তি না দিলেও কেউ খেলাপি হয়নি। ২০২১ সালে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ১৫ শতাংশ দিলে নিয়মিত ছিল। এরপর রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গতবছরের শেষ প্রান্তিকে একজনের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ৫০ শতাংশ দিলে খেলাপি হয়নি। এরকম ছাড়ের সুযোগ নিয়ে অনেক ব্যাংক আদায় না করেও খেলাপি কম দেখেয়েছিল। তবে ছাড় উঠে যাওয়ার পরই জানুয়ারি–মার্চ সময়ে খেলাপি ঋণ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বহির্বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা দির্ঘ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য ও পরিবহণ ব্যয় বেড়েছে। এতে করে ঋণ গ্রহীতারা প্রদেয় কিস্তির সম্পূর্ণ অংশ পরিশোধে অসুবিধার মুখে পড়ছেন। এরকম পরিস্থিতে উৎপাদন ও সেবা খাতসহ সকল ব্যবসা চলমান রাখার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি বজায় রাখতে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদি কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণসহ গত ১ এপ্রিল অশ্রেণিকৃত মেয়াদি ঋণের বিপরীতে এপ্রিল–জুন সময়ে প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে তা খেলাপি করা যাবে না। এসময়ে প্রদেয় কিস্তির বাকি অংশ বিদ্যমান ঋণের পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সমকিস্তিতে অথবা এক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ঋণসমূহ যথানিয়মে শ্রেণিকরণের আওতাভুক্ত হবে। এ সার্কুলারের আওতায় সুবিধা নেওয়া ঋণে কোনো ধরনের দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে, পুনঃতপশিলের মাধ্যমে নিয়মিত থাকা ঋণের জন্যও এ সার্কুলারের আওতায় প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে। ইসলামী শরীয়াহ্‌ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দিতে পারবে। আর সুবিধা পাওয়া ঋণে যে পরিমাণ সুদ নগদে আদায় হবে তা আয়খাতে স্থানান্তর করা যাবে।

ঢাকা/এসএ