০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১০৪৪১ বার দেখা হয়েছে

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর। এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চগুলো। তলিয়ে গেছে আমন আবাদসহ বিভিন্ন সবজির খেত।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির  বৃদ্ধি দেখে এখানকার মানুষেরা দুঃশ্চিন্তায় আছে। তাছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট।

ধরলা নদীর অববাহিকার সিতাইঝাড় এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, আবার ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে বাড়ির চারিদিকে পানি চলে আসছে। এভাবে যদি আরও ২-৩ দিন পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আরও পড়ুন: আজ থেকে ৪৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, পানি নেমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও। তবে আশা করা হচ্ছে ২-৩ দিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি

আপডেট: ১১:২৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদীর। এদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জেলার নদ-নদীর অববাহিকায় নিম্নাঞ্চগুলো। তলিয়ে গেছে আমন আবাদসহ বিভিন্ন সবজির খেত।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৫৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি সদর পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার অববাহিকার গড়াইপিয়ার এলাকার নয়ন মিয়া বলেন, ২-৩ দিন থেকে আবারও তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানির  বৃদ্ধি দেখে এখানকার মানুষেরা দুঃশ্চিন্তায় আছে। তাছাড়া তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও নদী ভাঙে, পানি কমলেও নদী ভাঙে। তিস্তা পাড়ের মানুষের বারোমাসেই কষ্ট।

ধরলা নদীর অববাহিকার সিতাইঝাড় এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন, আবার ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে বাড়ির চারিদিকে পানি চলে আসছে। এভাবে যদি আরও ২-৩ দিন পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে অবস্থা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আরও পড়ুন: আজ থেকে ৪৩ দিন বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের ফলে ৩৩৫ হেক্টর জমির আমন ও ৫০ হেক্টর জমির সবজিখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই, পানি নেমে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানিও। তবে আশা করা হচ্ছে ২-৩ দিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করবে। তবে এই মুহূর্তে বড় ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

ঢাকা/টিএ