০৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তি দুর্বলতায় ভোগান্তিতে গ্রাহক-ব্যাংকাররা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৩৫১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ কখনো সার্ভার, কখনো ওয়েবসাইট ডাউন। প্রযুক্তিগত এমন নানা দুর্বলতায় প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) কার্যক্রম। সর্বশেষ বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন কেটে যাওয়ায় তিন কর্মদিবস বন্ধ থাকে দেশব্যাপী আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বতর্মানে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন দুর্বলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনার মধ্য দিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংক‘র। এরপর বিভিন্ন সময় সার্ভার সমস্যা, ওয়েবসাইট ডাউনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুর্বলতা প্রকাশ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সবশেষ চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন কেটে যাওয়ায় জটিলতা দেখা দেয় আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনে। পরপর তিন কার্যদিবস অর্থাৎ ১ এপ্রিল পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন। ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহক-ব্যাংকারদের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকটা দায়সারা জবাব দিয়ে জানায় যে, কারিগরি সমস্যা যে কোনো সময় হতে পারে তবে বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংককের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিরপুরে আমাদের একটা সেন্টার আছে, সেটার সঙ্গে মতিঝিলের হেড অফিসের সঙ্গে সংযোগ থাকে। সেই লাইটা কাটা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে বিটিসিএল ঠিক করে দেয়। তারপরও তিন দিন এ সমস্যাটা হয়েছে।

প্রযুক্তিবিদ তাওসীফ আহমেদ সুমন বলেন, অদক্ষ ডিজাইন ও সংযোগব্যবস্থার দুর্বলতায় সমস্যা সমাধানে সময় লেগেছে কয়েকদিন। নকশা তৈরি সময় আসলে তারা বেশি নজর দেয়নি।
দেশজুড়ে প্রতি কর্মদিবসে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন হয় ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা। লকডাউনে কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় স্বল্প সময়ে বেশি চাপ সামলাতে হচ্ছে বলেও জানান ব্যাংকাররা।

ঢাকা/জেএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তি দুর্বলতায় ভোগান্তিতে গ্রাহক-ব্যাংকাররা

আপডেট: ১২:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ কখনো সার্ভার, কখনো ওয়েবসাইট ডাউন। প্রযুক্তিগত এমন নানা দুর্বলতায় প্রশ্নবিদ্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) কার্যক্রম। সর্বশেষ বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন কেটে যাওয়ায় তিন কর্মদিবস বন্ধ থাকে দেশব্যাপী আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বতর্মানে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন দুর্বলতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ঘটনার মধ্য দিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বাংলাদেশ ব্যাংক‘র। এরপর বিভিন্ন সময় সার্ভার সমস্যা, ওয়েবসাইট ডাউনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুর্বলতা প্রকাশ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। সবশেষ চলতি মাসের ১৩ এপ্রিল বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন কেটে যাওয়ায় জটিলতা দেখা দেয় আন্তঃব্যাংকিং লেনদেনে। পরপর তিন কার্যদিবস অর্থাৎ ১ এপ্রিল পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় স্থবির হয়ে পড়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন। ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রাহক-ব্যাংকারদের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেকটা দায়সারা জবাব দিয়ে জানায় যে, কারিগরি সমস্যা যে কোনো সময় হতে পারে তবে বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংককের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, মিরপুরে আমাদের একটা সেন্টার আছে, সেটার সঙ্গে মতিঝিলের হেড অফিসের সঙ্গে সংযোগ থাকে। সেই লাইটা কাটা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে বিটিসিএল ঠিক করে দেয়। তারপরও তিন দিন এ সমস্যাটা হয়েছে।

প্রযুক্তিবিদ তাওসীফ আহমেদ সুমন বলেন, অদক্ষ ডিজাইন ও সংযোগব্যবস্থার দুর্বলতায় সমস্যা সমাধানে সময় লেগেছে কয়েকদিন। নকশা তৈরি সময় আসলে তারা বেশি নজর দেয়নি।
দেশজুড়ে প্রতি কর্মদিবসে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন হয় ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা। লকডাউনে কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় স্বল্প সময়ে বেশি চাপ সামলাতে হচ্ছে বলেও জানান ব্যাংকাররা।

ঢাকা/জেএইচ