কোন ফল কখন খাবেন, কখন খাবেন না

- আপডেট: ১২:০৫:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
- / ১০৩৫৯ বার দেখা হয়েছে
যেকোনো ঋতুতেই ফল একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার। ফল প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে কাজ করে। প্রচন্ড গরমে ফল আমাদের শক্তি জোগায় এবং হাইড্রেটেড রাখে। সর্দি এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বিভিন্ন ধরনের ফল। ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্ষা মৌসুমে বিশেষভাবে উপকারী। তবে আপনার স্বাস্থ্যের ওপর ভিত্তি করে কিছু ফল খাওয়া এবং কিছু ফল এড়িয়ে চলা উচিত। প্রখ্যাত লেখক এবং আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক ডাঃ ডিম্পল জাংদা তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
১. হজমের সমস্যা
আপনি যদি এমন কেউ হন যার ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য, শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বক, কুঁচকে যাওয়া চুল বা ক্ষুধা কম থাকে, তাহলে ডাঃ জাংদা বলেছেন আপনার দিনটি এক বাটি উষ্ণ স্টুড ফল দিয়ে শুরু করা ভালো। কীভাবে তা করবেন? একটি করে আপেল, পীচ, নাশপাতি নিয়ে এগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি বাটিতে সামান্য পানি, বেরি, চেরি, স্ট্রবেরি এবং একটি দারুচিনি এবং খোসা ছাড়ানো ফলগুলো দিন। এবার এতে কয়েকটি কালো গোলমরিচ এবং লবঙ্গ যোগ করতে পারেন। ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। ডাঃ জাংদার মতে, এই ফলের স্টু আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
২. ত্বকের সমস্যা
আপনি কি এমন কেউ যিনি অ্যাসিডিটি, ত্বকে জ্বালাপোড়া, এমনকী সোরিয়াসিস, একজিমা, রোসেসিয়া বা ছত্রাকের মতো ত্বকের রোগে আক্রান্ত? এক্ষেত্রে ডাঃ জাংদার মতে, আপনার লেবু, কমলা, ট্যানজারিন, টক আম এবং এমনকী টক আঙ্গুরের মতো সমস্ত সাইট্রাস ফল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
আরও পড়ুন: ঈদে অতিরিক্ত মাংস খেয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্র ভালো রাখতে করণীয়
৩. শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা
ডাঃ ডিম্পল জাংদার মতে, আপনার যদি সর্দি, কাশি, সাইনাস বা গলার সংক্রমণের প্রবণতা থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই উষ্ণ ব্রেকফাস্ট বা দুপুরের খাবারের ২ ঘণ্টা পরে ফল খেতে হবে। আপনি যখন সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের ২ ঘণ্টা পরে ফল খান, তাহলে এটি আপনার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে। সেইসঙ্গে এটি সর্দি ও কাশি প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
৪. ডায়াবেটিস
আপনি যদি ডায়াবেটিক হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এক বাটি বাদাম দিয়ে ফল খেতে হবে। এক্ষেত্রে ডাঃ জাংদা ফলের বাটিতে আখরোট এবং বাদাম যোগ করার পরামর্শ দেন কারণ এটি ফল থেকে চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে। এভাবে বাদাম যোগ করে খেলে তা ফল থেকে আপনার চিনির শোষণকে ধীর করে দেবে।
ঢাকা/এসএইচ