ক্যান্সারের ওষুধের কাঁচামাল আমদানির কর কমেছে

- আপডেট: ০৭:৪১:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
- / ১০৩৭৭ বার দেখা হয়েছে
ক্যান্সারের রোগীদের চিকিৎসা আরো সুলভ করতে চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (৩ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
যেখানে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন, ২০২৩(২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ক্যান্সার নিরোধক ঔষধ প্রস্তুতের জন্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপণীয় উৎসে কর সংগ্রহের হার ৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি এনবিআরে ক্যান্সার ওষুধের দাম কমিয়ে মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল জাতীয় ওষুধের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: এলপি গ্যাসের দাম কমলো
চিঠিতে তিনি বলেন, ক্যান্সার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামালের ওপর আরোপিত অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) এবং অ্যাডভান্স ট্যাক্স (এটি) কমিয়ে মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল জাতীয় ওষুধে এআইটি ও এটি আরোপ করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ৩৪০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা। কিন্তু বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় দেশের দরিদ্র মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে এই ব্যয় করতে গিয়ে নিজে ও পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে দেওয়া ওই চিঠিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উল্লেখ করেন, প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-ক্যান্সার জাতীয় ওষুধের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩০টি হলেও এর ব্যবহৃত শতভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। অ্যান্টি ক্যান্সার জাতীয় ওষুধ আমদানি করতে কাঁচামালের ওপর আরোপিত কর উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হয়। ফলে ওষুধের দাম বাড়ে এবং এই অতিরিক্ত করের বোঝা দেশের দরিদ্র মানুষকেই বহন করতে হয়।
ঢাকা/এসএইচ