০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে বৈষম্যহীন ও অহংকার করার মতো একটি দেশ গড়বো: জামায়াত আমির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৩৭ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও অহংকার করার মতো একটি দেশ গড়ে তুলবো। যেখানে কোনও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাসী ও ঘুষ-দুর্নীতি থাকবে না। গাইবান্ধার মানুষের উন্নয়নে আমি নিজে থেকেই কাজ করবো। গাইবান্ধার মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সার্বিক নজর থাকবে। জেলার মানুষের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি কৃষিতে উন্নয়নে কলকারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে যারা আছেন- তাদের চাকরি কিংবা কামের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব দূর করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা জেলা শহরের ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না। সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।

জামায়াতের আমির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামীর নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাতের আঁধারে হাজারো লাশ ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এসব কিছুর পেছনে পরোক্ষভাবে জড়িত থেকেও নানা নাটক করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। পিলখানার হত্যা ঘটনার পর বিডিআর সদস্যের নাম ও পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। ক্ষমতার দম্ভে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় উপহাস করেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। অথচ ভাগ্যের কী পরিহাস, আজ নিজেই তিনি পালিয়ে গেছেন। দলের নেতাকর্মীদের একটু সান্ত্বনাও দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের আর্থিক লেনদেনের নথি তলব

তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর সারা দেশজুড়েই রক্তপাত আর কাড়ি কাড়ি লাশ পড়েছে। গুম-হত্যার শিকার হাজারো বনি আদমের আজও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মানুষের ওপর দফায়-দফায় অত্যাচার আর জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ৫৪ মানুষকে খুন করে লাশের ওপরে নাচানাচি করছে।

দেড়যুগ পর গাইবান্ধা জেলায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে সকাল থেকেই ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে এসেছেন জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

ক্ষমতায় গেলে বৈষম্যহীন ও অহংকার করার মতো একটি দেশ গড়বো: জামায়াত আমির

আপডেট: ০৫:৩৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে আমরা একটি বৈষম্যহীন, মানবিক ও অহংকার করার মতো একটি দেশ গড়ে তুলবো। যেখানে কোনও চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাসী ও ঘুষ-দুর্নীতি থাকবে না। গাইবান্ধার মানুষের উন্নয়নে আমি নিজে থেকেই কাজ করবো। গাইবান্ধার মানুষ যাতে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে সার্বিক নজর থাকবে। জেলার মানুষের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি কৃষিতে উন্নয়নে কলকারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে যারা আছেন- তাদের চাকরি কিংবা কামের ব্যবস্থা করে বেকারত্ব দূর করা হবে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা জেলা শহরের ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, বৈষম্যহীন। সকল ক্ষেত্র থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে, যেখানে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। সব মানুষই দেশের নাগরিক হিসেবে পরিচিত হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন করা হবে না। মসজিদ যদি পাহারা দেওয়া না লাগে তবে মন্দিরও পাহারা দেওয়া লাগবে না। সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে।

জামায়াতের আমির বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামীর নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাতের আঁধারে হাজারো লাশ ড্রেনে ফেলে দেওয়া হয়। এসব কিছুর পেছনে পরোক্ষভাবে জড়িত থেকেও নানা নাটক করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। পিলখানার হত্যা ঘটনার পর বিডিআর সদস্যের নাম ও পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। ক্ষমতার দম্ভে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সে সময় উপহাস করেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। অথচ ভাগ্যের কী পরিহাস, আজ নিজেই তিনি পালিয়ে গেছেন। দলের নেতাকর্মীদের একটু সান্ত্বনাও দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের আর্থিক লেনদেনের নথি তলব

তিনি বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর সারা দেশজুড়েই রক্তপাত আর কাড়ি কাড়ি লাশ পড়েছে। গুম-হত্যার শিকার হাজারো বনি আদমের আজও খবর পাওয়া যাচ্ছে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মানুষের ওপর দফায়-দফায় অত্যাচার আর জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ৫৪ মানুষকে খুন করে লাশের ওপরে নাচানাচি করছে।

দেড়যুগ পর গাইবান্ধা জেলায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে সকাল থেকেই ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে এসেছেন জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/এসএইচ