০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৩৫৪ বার দেখা হয়েছে

খাবার রান্না, প্রক্রিয়াজাত করার সময় কিংবা সংরক্ষণের ভুল থেকে তাতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান সংক্রমণ ঘটায়। খাবার খাওয়ার পর এই জীবাণু পরে হজমতন্ত্রে প্রবেশ করে অন্ত্র ও পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খাওয়ার কারণেও খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।

যেভাবে খাবার সংক্রমিত হয়

সব ধরনের খাবারেই জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তবে রান্নার সময় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু তাপে ধ্বংস হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো খাবার কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। আবার রান্না করা খাবারও ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা খাওয়ার সময় আবার গরম না করলে কিংবা তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে তা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই খাবার গরম খাওয়া এবং যে কোনো খাবারের সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। 

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নির্ভর করবে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে তার ওপর। খাবারে বিষক্রিয়া হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত উপসর্গগুলো হলো- বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, খাওয়ার রুচি হারানো, শারীরিক দুর্বলতা, হালকা জ্বর ইত্যাদি।

সাধারণত খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু করে সংক্রমিত খাবার খাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে। এই সময়সীমাও নির্ভর করবে রোগী কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছে তার ওপর। ‘এন্টামোয়িবা’য়ের সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে সময় লেগে যেতে পারে এক থেকে চার সপ্তাহ।’

চিকিৎসা

কোন জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছেন তা জানতে হলে মল পরীক্ষা করতে হবে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার চিকিৎসা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব।  এ সময় তেল মসলা ছাড়া খাবার, রুটি, আপেল, ভাত ইত্যাদি দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন। 

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও চিকিৎসা

আপডেট: ০৩:৩৯:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

খাবার রান্না, প্রক্রিয়াজাত করার সময় কিংবা সংরক্ষণের ভুল থেকে তাতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান সংক্রমণ ঘটায়। খাবার খাওয়ার পর এই জীবাণু পরে হজমতন্ত্রে প্রবেশ করে অন্ত্র ও পাকস্থলীতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খাওয়ার কারণেও খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।

যেভাবে খাবার সংক্রমিত হয়

সব ধরনের খাবারেই জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। তবে রান্নার সময় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু তাপে ধ্বংস হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই যে কোনো খাবার কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্যে বিষক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। আবার রান্না করা খাবারও ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা খাওয়ার সময় আবার গরম না করলে কিংবা তা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে তা থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই খাবার গরম খাওয়া এবং যে কোনো খাবারের সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি জানা প্রয়োজন। 

খাবারে বিষক্রিয়ার লক্ষণ

খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নির্ভর করবে কোনও জীবাণুর সংক্রমণ ঘটেছে তার ওপর। খাবারে বিষক্রিয়া হলে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত উপসর্গগুলো হলো- বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, খাওয়ার রুচি হারানো, শারীরিক দুর্বলতা, হালকা জ্বর ইত্যাদি।

সাধারণত খাদ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেওয়া শুরু করে সংক্রমিত খাবার খাওয়ার কয়েক দিন পর থেকে। এই সময়সীমাও নির্ভর করবে রোগী কী ধরনের জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছে তার ওপর। ‘এন্টামোয়িবা’য়ের সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে সময় লেগে যেতে পারে এক থেকে চার সপ্তাহ।’

চিকিৎসা

কোন জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়েছেন তা জানতে হলে মল পরীক্ষা করতে হবে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার চিকিৎসা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব।  এ সময় তেল মসলা ছাড়া খাবার, রুটি, আপেল, ভাত ইত্যাদি দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারেন।