০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

গত বছরের চেয়ে পণ্যের দাম সহনীয়: প্রেস সচিব

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৩৩৪ বার দেখা হয়েছে

গত বছরের রমজানের চেয়ে এবার পণ্যের দাম সহনীয় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম সাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম গত রোজার চেয়ে এবার সহনীয় পর্যায়ে আছে। পুরো রমজান জুড়েই সহনীয় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাপ্লাই পরিস্থিতি সামনে আরও ভালো হবে। দাম সহনীয় থাকবে বলে আশা করি।

এ সময় এক গণমাধ্যমকর্মী বাজারে সয়াবিন তেল না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত সয়াবিনের ঘাটতি আছে। তবে নিয়মিত মনিটরিংয়ে খোলা তেলের ঘাটতি কমে এসেছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

লেবুর হালি ২০০ টাকা

সরেজমিন শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ২০০ টাকায়। শসা ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৬০ থেকে দেড়শ’ টাকা। সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চাহিদা বাড়ার অজুহাত বিক্রেতাদের। এতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।

তবে বাজারে স্বস্তি মিলেছে ডাল, বেসন, ছোলা ও চিনির দামে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের সন্তোষ প্রকাশ। ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কিছু কিছু জিনিসের দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।

এদিকে, মাংসের বাজারেও রয়েছে উত্তাপ। গেল সপ্তাহের চেয়ে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

আরও পড়ুন: মার্চে জ্বালানি তেলের মূল্য অপরিবর্তিত

কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, উৎপাদনের ভরা মৌসুম না। তাই সরবরাহটা একটু কম এবং চাহিদাটা একটু বেশি। এজন্য দামটা বেড়ে গেছে। কিন্তু দাম যে হারে বেড়েছে, সেটা খুবই অস্বাভাবিক। এখানে আমাদেরকে ন্যায্য দাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সরকারি এজেন্সিগুলোকে কাজ করতে হবে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

গত বছরের চেয়ে পণ্যের দাম সহনীয়: প্রেস সচিব

আপডেট: ০৬:২৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

গত বছরের রমজানের চেয়ে এবার পণ্যের দাম সহনীয় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম সাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন দাবি করেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম গত রোজার চেয়ে এবার সহনীয় পর্যায়ে আছে। পুরো রমজান জুড়েই সহনীয় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। শফিকুল আলম বলেন, বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সাপ্লাই পরিস্থিতি সামনে আরও ভালো হবে। দাম সহনীয় থাকবে বলে আশা করি।

এ সময় এক গণমাধ্যমকর্মী বাজারে সয়াবিন তেল না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, বাজারে খোলা ও প্যাকেটজাত সয়াবিনের ঘাটতি আছে। তবে নিয়মিত মনিটরিংয়ে খোলা তেলের ঘাটতি কমে এসেছে। নিয়মিত মনিটরিংয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

লেবুর হালি ২০০ টাকা

সরেজমিন শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ২০০ টাকায়। শসা ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। বেগুনের কেজি ৬০ থেকে দেড়শ’ টাকা। সরবরাহ থাকার পরও দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চাহিদা বাড়ার অজুহাত বিক্রেতাদের। এতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।

তবে বাজারে স্বস্তি মিলেছে ডাল, বেসন, ছোলা ও চিনির দামে। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানালেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের সন্তোষ প্রকাশ। ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কিছু কিছু জিনিসের দাম দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে।

এদিকে, মাংসের বাজারেও রয়েছে উত্তাপ। গেল সপ্তাহের চেয়ে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

আরও পড়ুন: মার্চে জ্বালানি তেলের মূল্য অপরিবর্তিত

কৃষি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, উৎপাদনের ভরা মৌসুম না। তাই সরবরাহটা একটু কম এবং চাহিদাটা একটু বেশি। এজন্য দামটা বেড়ে গেছে। কিন্তু দাম যে হারে বেড়েছে, সেটা খুবই অস্বাভাবিক। এখানে আমাদেরকে ন্যায্য দাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সরকারি এজেন্সিগুলোকে কাজ করতে হবে।

ঢাকা/টিএ