০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

গবেষণার নামে ৬ কোটি টাকা লোপাট, দুদকের অভিযান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ১০৩৪৪ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

গবেষণার নামে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় পৌনে ৬ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার (২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মিরপুর কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও  উপসহকারী পরিচালক এলমান আহাম্মদ অনির নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গবেষণার জন্য কোনো প্রস্তাব কিংবা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার তিনটি গবেষণায় খরচ করা হয়। যেখানে পৌনে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে আট গবেষণায়। আবার গবেষণাটি ছয় মাসে সম্পন্নের কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে মাত্র দুই মাসে করা হয়েছে। এতে গবেষণার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গবেষণাগুলো করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষকরা। নিয়ম অনুযায়ী কমিটিতে ৩ সদস্য থাকা উচিত। কিন্তু নিয়ম ভেঙে ছিলেন ৯ জন। যে কারণে ব্যয় হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের পতনের আগে গবেষণার কাজ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

নিয়ম অনুযায়ী পিপিআর (১৬) (৫) (ক) (খ) অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট হবে। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ সদস্য বিশিষ্ট মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়াও গবেষণা ব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

গবেষণার নামে ৬ কোটি টাকা লোপাট, দুদকের অভিযান

আপডেট: ০৩:১২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

গবেষণার নামে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় পৌনে ৬ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ সোমবার (২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মিরপুর কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও  উপসহকারী পরিচালক এলমান আহাম্মদ অনির নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গবেষণার জন্য কোনো প্রস্তাব কিংবা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার তিনটি গবেষণায় খরচ করা হয়। যেখানে পৌনে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে আট গবেষণায়। আবার গবেষণাটি ছয় মাসে সম্পন্নের কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে মাত্র দুই মাসে করা হয়েছে। এতে গবেষণার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গবেষণাগুলো করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষকরা। নিয়ম অনুযায়ী কমিটিতে ৩ সদস্য থাকা উচিত। কিন্তু নিয়ম ভেঙে ছিলেন ৯ জন। যে কারণে ব্যয় হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের পতনের আগে গবেষণার কাজ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ

নিয়ম অনুযায়ী পিপিআর (১৬) (৫) (ক) (খ) অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ কমিটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট হবে। কিন্তু বিধি ভঙ্গ করে শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ সদস্য বিশিষ্ট মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়াও গবেষণা ব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা/টিএ