১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় একদিনে নিহত ৮৩, মোট নিহত ছাড়াল ৬০ হাজার ৩০০

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১০৩৭৫ বার দেখা হয়েছে

বুধবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫৫৪ জন। বুধবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ হাজার ৩৩২ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৩ জন ফিলিস্তিনি।

“দখলদার বাহিনীর বোমার শিকারদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না”, এক বিবৃতিতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণের খাবার নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও  বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৫ হাজার ৬০২ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু  জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

গাজায় একদিনে নিহত ৮৩, মোট নিহত ছাড়াল ৬০ হাজার ৩০০

আপডেট: ০১:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫

বুধবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫৫৪ জন। বুধবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ হাজার ৩৩২ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৩ জন ফিলিস্তিনি।

“দখলদার বাহিনীর বোমার শিকারদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়ে আছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না”, এক বিবৃতিতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ত্রাণের খাবার নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপরও হামলা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৪০০ জন।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও  বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৯ হাজার ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৫ হাজার ৬০২ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু  জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ঢাকা/এসএইচ