০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাজার পুরো রাফা দখল করল ইসরায়েল

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০৩৫২ বার দেখা হয়েছে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস ও রাফার মধ্যকার অঞ্চলের ‘মোরাগ’ করিডর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। এরমাধ্যমে অন্যান্য অঞ্চল থেকে গাজা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় মিসর সীমান্তবর্তী রাফা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে তারা। সঙ্গে সেখানকার মানুষকে অন্য অঞ্চলে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর অসংখ্য হামলা ও বর্বরতা চালিয়ে রাফাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে ইসরায়েল।

আগে থেকেই সীমান্তবর্তী গাজার ফিলাডেলফি করিডর দখল করে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনারা। এরপর খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েল তৈরি করে মোরাগ করিডর। এই করিডরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে রাফা খান ইউনিস থেকে আলাদা হয়ে যায়। অপরদিকে রাফার পুরো অঞ্চলটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

দখলদারদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ শনিবার বলেছেন, রাফা এখন থেকে ইসরায়েলের ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেখানে আর কোনো ফিলিস্তিনিকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

দখলদার এ মন্ত্রী বলেছেন, গাজার মানুষ যদি গাজায় থাকতে চান তাহলে এটিই তাদের জন্য শেষ সুযোগ। এজন্য তাদের হামাসকে নির্মূল করতে হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি গাজাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “এটি হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং যুদ্ধ শেষ করার চূড়ান্ত মুহূর্ত। যদি এই সুযোগ কাজে লাগানো না হয় তাহলে প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলে তীব্র হামলা চালানো শুরু করবে। এবং আপনাকে যুদ্ধস্থল থেকে সরে যেতে হবে।”

আরও পড়ুন: ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

তিনি আরও বলেন, “হামাস গাজার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়। হামাসের নেতারা সুরঙ্গের ভেতর নিরাপদ জায়গায় তাদের পরিবারকে নিয়ে আছে। আর বিদেশে থাকা নেতারা আছে দামি হোটেলে। সঙ্গে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। গাজাবাসীর হামাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করার এখনই সময়। এটি যুদ্ধ বন্ধ করার একমাত্র উপায়।”

এছাড়া ‘ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী’ যেসব গাজাবাসী স্বেচ্ছায় অন্য দেশে চলে যেতে চায় তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এ দখলদার।

সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

গাজার পুরো রাফা দখল করল ইসরায়েল

আপডেট: ০৬:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস ও রাফার মধ্যকার অঞ্চলের ‘মোরাগ’ করিডর পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শনিবার (১২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। এরমাধ্যমে অন্যান্য অঞ্চল থেকে গাজা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুনফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় মিসর সীমান্তবর্তী রাফা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে তারা। সঙ্গে সেখানকার মানুষকে অন্য অঞ্চলে চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর অসংখ্য হামলা ও বর্বরতা চালিয়ে রাফাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করেছে ইসরায়েল।

আগে থেকেই সীমান্তবর্তী গাজার ফিলাডেলফি করিডর দখল করে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনারা। এরপর খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েল তৈরি করে মোরাগ করিডর। এই করিডরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মাধ্যমে রাফা খান ইউনিস থেকে আলাদা হয়ে যায়। অপরদিকে রাফার পুরো অঞ্চলটি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

দখলদারদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ শনিবার বলেছেন, রাফা এখন থেকে ইসরায়েলের ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেখানে আর কোনো ফিলিস্তিনিকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

দখলদার এ মন্ত্রী বলেছেন, গাজার মানুষ যদি গাজায় থাকতে চান তাহলে এটিই তাদের জন্য শেষ সুযোগ। এজন্য তাদের হামাসকে নির্মূল করতে হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি গাজাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, “এটি হামাসকে নির্মূল করা, জিম্মিদের মুক্ত করা এবং যুদ্ধ শেষ করার চূড়ান্ত মুহূর্ত। যদি এই সুযোগ কাজে লাগানো না হয় তাহলে প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলে তীব্র হামলা চালানো শুরু করবে। এবং আপনাকে যুদ্ধস্থল থেকে সরে যেতে হবে।”

আরও পড়ুন: ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

তিনি আরও বলেন, “হামাস গাজার বাসিন্দাদের রক্ষা করতে সক্ষম নয়। হামাসের নেতারা সুরঙ্গের ভেতর নিরাপদ জায়গায় তাদের পরিবারকে নিয়ে আছে। আর বিদেশে থাকা নেতারা আছে দামি হোটেলে। সঙ্গে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। গাজাবাসীর হামাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করার এখনই সময়। এটি যুদ্ধ বন্ধ করার একমাত্র উপায়।”

এছাড়া ‘ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী’ যেসব গাজাবাসী স্বেচ্ছায় অন্য দেশে চলে যেতে চায় তাদের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এ দখলদার।

সূত্র: রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল

ঢাকা/এসএইচ