১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ১০২৬৭ বার দেখা হয়েছে

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশের আরেক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের একজন ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ ও এক পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ডরুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ তাকে গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করা হয়েছে।

ওই কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শুরুর দিকে আতঙ্কে কেউ সামনে যেতে পারছিলেন না।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা; মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।

রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের ওপর পড়ে ছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াত টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।

আরও পড়ুন: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন সন্ধ্যায়

ঘটনার সময়ে ওই সড়ক ধরে কর্মস্থল থেকে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদসহ কয়েকজন। হাসান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই অস্ত্রধারী আরেক পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের চালক গাড়ির গতি থামালে তিনি গাড়ি থেকেই জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে? দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য হুঙ্কার দিয়েই তাদের দিকে অস্ত্র তাক করেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি জানান, ওই সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। তখন আশপাশের লোকজন উঁকিঝুঁকি দিলেও গুলির কারণে কেউ সামনে আসতে সাহস পাচ্ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভেতরে ছিলেন। হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে বের হয়ে আসেন। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ।

তিনি বলেন, তখন তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে? তখন তিনি বলেন, ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। এরই মধ্যে সবাই বুঝতে পারে যে, কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছেন। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেট: ১১:২০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশের আরেক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের একজন ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ ও এক পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে বারিধারার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ডরুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ তাকে গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করা হয়েছে।

ওই কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শুরুর দিকে আতঙ্কে কেউ সামনে যেতে পারছিলেন না।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, তাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা; মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে কনস্টেবল কাউসার সহকর্মী কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করেছে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন।

রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের অদূরে ফুটপাত পেরিয়ে সড়কের পাশে কনস্টেবল মনিরুলের গুলিবিদ্ধ দেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তখনও তার ব্যবহৃত রাইফেলটি তার পিঠের ওপর পড়ে ছিল। পুরো এলাকা পুলিশের সোয়াত টিম ঘিরে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।

আরও পড়ুন: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন সন্ধ্যায়

ঘটনার সময়ে ওই সড়ক ধরে কর্মস্থল থেকে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন একাত্তর টিভির কর্মী হাসান আহমেদসহ কয়েকজন। হাসান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই অস্ত্রধারী আরেক পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের চালক গাড়ির গতি থামালে তিনি গাড়ি থেকেই জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে? দাঁড়িয়ে থাকা অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য হুঙ্কার দিয়েই তাদের দিকে অস্ত্র তাক করেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

তিনি জানান, ওই সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। তখন আশপাশের লোকজন উঁকিঝুঁকি দিলেও গুলির কারণে কেউ সামনে আসতে সাহস পাচ্ছিল না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ঘটনার সময় তারা দূতাবাসের ভেতরে ছিলেন। হঠাৎ করে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে বের হয়ে আসেন। বাইরে আসার পর কাউসারকে দেখেন ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ।

তিনি বলেন, তখন তারা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞেস করেন কী হয়েছে? তখন তিনি বলেন, ‘শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে, এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে।’ এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যান। এরই মধ্যে সবাই বুঝতে পারে যে, কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছেন। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।

ঢাকা/এসএইচ