১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গুলি ‘চালান’ এএসআই, নিহত তিনজনের দু’জন তারই স্ত্রী-ছেলে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
  • / ১০৪৭৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এদের মধ্যে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) পরিবারের দুই সদস্য রয়েছেন। সৌমেন নামে ওই এএসআইয়ের গুলিতেই তারা নিহত হয়েছেন বলে এখন পর্যন্ত তথ্য রয়েছে।  

নিহতরা হলেন সৌমেনের স্ত্রী আসমা (২৫), তাদের ছেলে  রবিন (৫) এবং শাকিল (২৮) নামে আরেকজন। তবে শাকিলের সাথে সৌমেনের পরিবারের সদস্যদের সম্পর্ক কী তা এখনও পরিষ্কার নয়।  

এ ঘটনায় সৌমেনকে আটক করেছে পুলিশ।  

নিহত শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে তিনি। আসমার বাড়িও একই উপজেলায়।  

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

আর সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।

জাফর নামে শাকিলের এক সহকর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে অফিস থেকে বের হয়ে আমরা মার্কেটে যাই। তারপর জানতে পারি শাকিল খুন হয়েছে। 
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকে গুলি করেন সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা সৌমেনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।

আসমার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় শাকিল ও রবিনের।  নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলেও পুলিশের একটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। সূত্রটি বলছে, অনৈতিক এ সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

গুলি ‘চালান’ এএসআই, নিহত তিনজনের দু’জন তারই স্ত্রী-ছেলে

আপডেট: ০৩:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে যে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এদের মধ্যে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) পরিবারের দুই সদস্য রয়েছেন। সৌমেন নামে ওই এএসআইয়ের গুলিতেই তারা নিহত হয়েছেন বলে এখন পর্যন্ত তথ্য রয়েছে।  

নিহতরা হলেন সৌমেনের স্ত্রী আসমা (২৫), তাদের ছেলে  রবিন (৫) এবং শাকিল (২৮) নামে আরেকজন। তবে শাকিলের সাথে সৌমেনের পরিবারের সদস্যদের সম্পর্ক কী তা এখনও পরিষ্কার নয়।  

এ ঘটনায় সৌমেনকে আটক করেছে পুলিশ।  

নিহত শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। জেলার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে তিনি। আসমার বাড়িও একই উপজেলায়।  

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

আর সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।

জাফর নামে শাকিলের এক সহকর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে অফিস থেকে বের হয়ে আমরা মার্কেটে যাই। তারপর জানতে পারি শাকিল খুন হয়েছে। 
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা সোয়া ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকে গুলি করেন সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা সৌমেনকে আটক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে।

আসমার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় শাকিল ও রবিনের।  নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। 

শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলেও পুলিশের একটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। সূত্রটি বলছে, অনৈতিক এ সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: