০৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • / ১০২৪৭ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের ইপিজেড, বন্দর, পতেঙ্গা, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকা থেকে নারী-শিশুসহ ২০০’র বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে, নগরীর যেসব এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় সেসব এলাকায় এ ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। পানিবাহিত রোগে অসুস্থ হয়ে গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১০ মাসের শিশু আবিদ।

শিশুদের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিআইটিআইডিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২০০ নারী পুরুষ। নগরীর ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর, উত্তর আগ্রাবাদসহ সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় যেসব এলাকা সেখান থেকেই  হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছেন বেশি।  

চিকিৎসকরা বলছে, ‘ভিব্রিও কলেরি’ নামক কলেরা জীবাণুর সংক্রমণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধানে কাজে করছে আইইডিসিআর এর পাঁচ সদস্যের একটি দল। 

বিআইটিআইডি’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ জানায়, ‘ভিব্রিও কলেরি’ নামক জীবাণু লবণাক্ত পানিতে বিকশিত হওয়ার ভালো সুযোগ পায়। সমুদ্রের লবণাক্ত জোয়ারের পানিতে আসা এই জীবাণু কোনোভাবে মানুষের খাবার পানিতে মিশে গিয়ে থাকলে সেখান থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হতে পারে।

এসব পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত ও সঠিক উপায়ে হাত ধোয়াসহ নিরাপদ পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি। উল্লেখ্য, এর ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাসে হালিশহর, আগ্রাবাদ ও ইপিজেড এলাকায় হেপাটাইটিস রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

চট্টগ্রামে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে

আপডেট: ০১:৪৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের ইপিজেড, বন্দর, পতেঙ্গা, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকা থেকে নারী-শিশুসহ ২০০’র বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে, নগরীর যেসব এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় সেসব এলাকায় এ ধরণের রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। পানিবাহিত রোগে অসুস্থ হয়ে গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১০ মাসের শিশু আবিদ।

শিশুদের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগের উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিআইটিআইডিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২০০ নারী পুরুষ। নগরীর ইপিজেড, পতেঙ্গা, হালিশহর, উত্তর আগ্রাবাদসহ সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় যেসব এলাকা সেখান থেকেই  হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছেন বেশি।  

চিকিৎসকরা বলছে, ‘ভিব্রিও কলেরি’ নামক কলেরা জীবাণুর সংক্রমণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে। রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধানে কাজে করছে আইইডিসিআর এর পাঁচ সদস্যের একটি দল। 

বিআইটিআইডি’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রশীদ জানায়, ‘ভিব্রিও কলেরি’ নামক জীবাণু লবণাক্ত পানিতে বিকশিত হওয়ার ভালো সুযোগ পায়। সমুদ্রের লবণাক্ত জোয়ারের পানিতে আসা এই জীবাণু কোনোভাবে মানুষের খাবার পানিতে মিশে গিয়ে থাকলে সেখান থেকে কলেরার প্রাদুর্ভাব শুরু হতে পারে।

এসব পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত ও সঠিক উপায়ে হাত ধোয়াসহ নিরাপদ পানি পানের পরামর্শ দেন তিনি। উল্লেখ্য, এর ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাসে হালিশহর, আগ্রাবাদ ও ইপিজেড এলাকায় হেপাটাইটিস রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল।

ঢাকা/এসএ