চমকপ্রদ ডিভিডেন্ড ঘোষণার আড়ালে নগদ সঙ্কটে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ: পর্ব-৪
- আপডেট: ০৫:২১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০২৫৫ বার দেখা হয়েছে
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অনেকেই এখন কাগুজে মুনাফার চমকপ্রদ তথ্য দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। বাস্তবে নগদ প্রবাহ দুর্বল হলেও বা পাওনা টাকা আদায় অনিশ্চিত হলেও, আর্থিক প্রতিবেদনে সেই চিত্র গোপন রেখে বা ভিন্নভাবে সাজিয়ে তারা এমন এক মুনাফার গল্প তৈরি করছে যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চোখে পড়লেই আস্থা জন্মায়। কিন্তু এই আস্থা খুব দ্রুত ভেঙে পড়ে যখন প্রকৃত তারল্য প্রবাহ সংকট প্রকাশ পায়। এই প্রবণতার সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর সদ্য প্রকাশিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নয় মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন।
এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষন শুরু করে ‘বিজনেস জার্নাল’-এর অনুসন্ধানী দল। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের প্রান্তিক প্রতিবেদনের চুল-চেড়া বিশ্লেষনে বেরিয়ে আসে কাগুজে মুনাফার প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি তারল্য সঙ্কট, অনিয়ন্ত্রিত পাওনা ও এর আদায়ে ধীরগতি, ডিভিডেন্ডের অযৌক্তিকতা ও আর্থিক অসঙ্গতিসহ বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। এরই ধারাবাহিকতায় কোম্পানিটি নিয়ে বিজনেস জার্নালের করা সাত পর্বের বিশেষ প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব আজ প্রকাশিত হলো।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সাম্প্রতিক আর্থিক প্রতিবেদনে এমন এক বৈপরীত্য ধরা পড়েছে যা ভবিষ্যতে কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের (৩০ জুন ২০২৪ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৫) আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- কোম্পানির হাতে নগদ অর্থ নেই বললেই চলে, অথচ ডিভিডেন্ড প্রদানের দায় হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি। এই বৈসাদৃশ্য কেবল আর্থিক অনিয়মের ইঙ্গিতই দেয় না, বরং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সম্ভাব্য ঝুঁকির বার্তাও বহন করছে।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংক: সুদ আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে ২০৮ শতাংশ!
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, কোম্পানির হাতে রয়েছে মাত্র ১ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মতো নগদ অর্থ। অন্যদিকে ডিভিডেন্ড-এ দায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৬ টাকা। অর্থ্যাৎ, কোম্পানি তার হাতে থাকা নগদের প্রায় দেড়গুণ বেশি পরিমাণ অর্থ ডিভিডেন্ড প্রদানের দায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। আরও আশ্চর্যের বিষয়, ডিভিডেন্ড বাবদ ব্যয় (Payment of Dividend) দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৭ টাকা। প্রশ্নটা স্পষ্ট- হাতে নগদ না থাকলে এই অর্থ এলো কোথা থেকে?
আন্তর্জাতিক হিসাবমান IAS 7 (Statement of Cash Flows) অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড প্রদানের অর্থের উৎস অবশ্যই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হয়- তা যদি হয় অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো, নতুন ঋণ, বা বিনিয়োগ আয়। কিন্তু আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিবেদনে সেই উৎসের কোনো ব্যাখ্যা নেই। ফলে ধারণা করা যায়, কোম্পানি হয়তো অপারেশনের নগদ প্রবাহ থেকে এই অর্থ কেটে নিয়েছে, অথবা নতুন দায় সৃষ্টি করে অর্থ জোগাড় করেছে। এই ধরনের আর্থিক সিদ্ধান্ত একটি প্রতিষ্ঠানের তারল্য সংকট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: বেস্ট হোল্ডিংস: ডেফার্ড ট্যাক্সের জাদুতে কর পরিশোধেও বেড়েছে মুনাফা!
কোম্পানির সামগ্রিক নগদ প্রবাহেও একই ধরণের দুর্বলতা স্পষ্ট। প্রতিবেদনে দেখা যায়, নয় মাসে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ, কিন্তু শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (NOCFPS) প্রায় ৩৬ শতাংশ কমে ০.৫৮ টাকা থেকে ০.৩৬ টাকায় নেমে এসেছে। অর্থ্যাৎ, বিক্রির অঙ্ক কাগজে বাড়লেও বাস্তবে নগদের প্রবাহ কমছে। এর কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে কোম্পানির ট্রেড রিসিভ্যাবল বা পাওনা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে দাঁড়িয়েছে ৯১ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়, আগের বছরের ৭৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি। অর্থ্যাৎ, কোম্পানি বিক্রি করেছে ঠিকই, কিন্তু সেই বিক্রির অর্থ এখনো হাতে আসেনি।
আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের হিসাবের ফাঁদে শেয়ারবাজার!
এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির হাতে পর্যাপ্ত নগদ না থাকা সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করছে। বাজারে ডিভিডেন্ড ঘোষণাকে সাধারণত আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। ফলে, এমন ঘোষণার পর কোম্পানির শেয়ারমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু যখন বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন যে কোম্পানির হাতে নগদই নেই, তখন বাজারে আস্থা কমে যায় এবং শেয়ারমূল্য ধসে পড়ে। এই প্রক্রিয়ায় কিছু প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী বা ইনসাইডাররা লাভবান হয়, আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন: আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬১ কোটি টাকার পাওনা আদায়ে অনিশ্চয়তা!
আর্থিক প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে দেখা যায়, সান্ড্রি ক্রেডিটরন (Sundry Creditors) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৩ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের শেষে ছিল প্রায় ৫৬ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ কোম্পানি নতুন দায় বা ঋণ বাড়িয়ে নগদ সংকট মোকাবিলা করেছে। এটি একটি আর্থিক সতর্ক সংকেত (red flag), কারণ কোনো প্রতিষ্ঠান যখন দায় বাড়িয়ে ডিভিডেন্ড প্রদানের ব্যবস্থা করে, তখন সেটি আর্থিকভাবে দুর্বলতার ইঙ্গিত বহন করে।
IAS 1 (Presentation of Financial Statements) অনুসারে, এমন অবস্থায় কোম্পানির উচিত ডিভিডেন্ড প্রদানের আগে তারল্য ও সক্ষমতার বিষয়টি যথাযথভাবে প্রকাশ করা। কিন্তু আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিবেদনে সেই সততার প্রকাশ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: লাভোলো’র মুনাফা উড়ছে কাগজে, নগদ ডুবছে বাস্তবে!
এসব বিষয়ে জানতে বিজনেস জার্নালের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি সচিব মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হলেও তার কোন ফিরতি জবাব পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোম্পানির এই ধরণের রিপোর্ট ‘নিয়মের মধ্যে থেকে অনিয়ম’ করার একটি নিদর্শন। অর্থাৎ, হিসাবপত্রে সবকিছু আইনি কাঠামোর মধ্যে রাখা হলেও বাস্তবে তথ্যগুলো এমনভাবে সাজানো হয় যাতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার দুর্বল দিকগুলো আড়াল করা যায়। হাতে নগদ না থাকা সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা এর একটি ক্লাসিক উদাহরণ। এতে বাজারে কোম্পানির ভাবমূর্তি সাময়িকভাবে উজ্জ্বল দেখালেও দীর্ঘমেয়াদে এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তাদের মতে, এমন প্রতিবেদনের পর বাজারে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যারা কেবল ডিভিডেন্ড ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করেন, তারা এই ধরনের কাগুজে রিপোর্টের ফাঁদে পড়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ বাজারে আস্থা স্থাপন করা যতটা কঠিন, সেটি হারাতে সময় লাগে না। যখন বিনিয়োগকারীরা দেখতে পান কোম্পানির হাতে যথেষ্ট নগদ না থাকা সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হচ্ছে, তখন পুরো বাজারেই এক ধরণের সন্দেহ তৈরি হয়- অন্য কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদনও কি তেমনি সাজানো?
আরও পড়ুন: আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের রপ্তানি প্রণোদনা উধাও: ফুলে ফেঁপে উঠছে ‘রিসিভ্যাবলস’
অন্যদিকে, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা যদি অপারেশনের টাকা থেকে ডিভিডেন্ড দেয়, তাহলে সেটি ব্যবসার মূল কার্যক্রমে চাপ সৃষ্টি করবে। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদন ব্যয়, কর্মচারী বেতন, এমনকি কাঁচামাল ক্রয়ের ওপরও। ফলে ভবিষ্যতের ব্যবসা স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে, এবং পরবর্তী সময়ে কোম্পানির মুনাফা আরও কমে আসবে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের এই আর্থিক চিত্র ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্ক বার্তা। কারণ হাতে পর্যাপ্ত নগদ না থাকলে, ভবিষ্যতে কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলেও তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও নষ্ট হবে, বাজারে অস্থিরতা বাড়বে, এবং কোম্পানির শেয়ারমূল্য ধীরে ধীরে পতনের দিকে যাবে। এই পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে ‘কাগুজে লাভ, বাস্তবে ক্ষতি’ প্রবণতাকে আরও তীব্র করে তুলবে।
আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিম: ৬৯ বছর অপেক্ষার ফাঁদে বিনিয়োগকারীরা!
ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ কি ভবিষ্যতে ডিভিডেন্ড ঘোষণায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে, নাকি এই আর্থিক ঘাটতি ও তারল্য সংকট কোম্পানিটিকে বড় ধরনের চাপে ফেলবে? কারণ নগদ প্রবাহই হলো কোম্পানির জীবনরস; সেটি না থাকলে কাগজের মুনাফা যতো বড়ই হোক, সেটি বাস্তব মূল্য হারায়। তাদের মতে, এটি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের ইস্যু নয়, বরং বাংলাদেশের করপোরেট সংস্কৃতির একটি বড় দুর্বলতা। অনেক কোম্পানি রিপোর্টে চমৎকার মুনাফা ও ডিভিডেন্ড ঘোষণা দেখিয়ে বাজারে ইতিবাচক বার্তা দেয়, কিন্তু নগদ প্রবাহের বাস্তব অবস্থা গোপন রাখে। এর ফলে বাজারে ধীরে ধীরে ‘বিশ্বাস সংকট’ তৈরি হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান মীর্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কোম্পানিগুলো নগদ প্রবাহ ছাড়া ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে, তাহলে তা শুধু শেয়ারমূল্য বাড়ানোর একটি হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, আর বড় বিনিয়োগকারীরা লাভ নিয়ে বেরিয়ে যান। বাজারে এই প্রবণতা বাড়ছে, যা নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি দাবি করে।’
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর সাধারণত আমরা ধরে নিই কোম্পানির অবস্থান ভালো। কিন্তু যখন দেখি হাতে নগদই নেই, তখন বুঝি এটা কাগুজে হিসাব। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তারা বলছেন, এটি ‘নিয়মের মধ্যে থেকে অনিয়ম’-এর একটি উদাহরণ। আইএস মেনে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত নগদ প্রবাহ দুর্বল। ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত ডিভিডেন্ড বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম। এটি পুরো বাজারের জন্যই নেগেটিভ সিগন্যাল।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংক ইস্যুতে স্টক এক্সচেঞ্জ যেন ‘নীরব দর্শক’!
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে লাভ দেখানো হলেও হাতে নগদ না থাকাটা খুবই উদ্বেগজনক। ডিভিডেন্ড ঘোষণার মাধ্যমে কোম্পানিটি হয়তো বাজারে ইতিবাচক বার্তা দিতে চেয়েছে, কিন্তু বাস্তবে তারা সেই অর্থ কোথা থেকে দেবে তা স্পষ্ট নয়। এই ধরনের রিপোর্ট বাজারে বিভ্রান্তি তৈরি করে। এই কারণে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন শুধু একটি কোম্পানির অসঙ্গতি নয়, বরং পুরো শেয়ারবাজারের জন্য একটি সতর্ক সংকেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতে নগদ না থাকা সত্ত্বেও ডিভিডেন্ড ঘোষণা শুধু বাজারে স্বল্পমেয়াদি উত্তেজনা সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি আস্থাহীনতা বাড়ায়, কারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করেন— ডিভিডেন্ড ঘোষণার পেছনে প্রকৃত মুনাফার চেয়ে ‘ইমেজ ম্যানেজমেন্ট’ বড় উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’ এছাড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জকে (বিএসইসি) আরও কঠোর হতে হবে বলে তিনি মনে করেন। (চলবে…)



































