০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৪২৩ বার দেখা হয়েছে

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭২ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই অর্থবছরে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের করে।

আজ বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। সে হিসাবে ৬.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রপ্তানি আয়।

তিনি বলেন, মানুষ তো আশা নিয়ে বাঁচে। বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরও ভালো রেজাল্ট এসেছে। গত বছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন সমস্যার পরও তারা ভালো অর্জন করেছে। আমরা গত বছরের টার্গেট এচিভ করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন আসলে খাওয়া তো বন্ধ হবে না। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন আসলে সব বন্ধ থাকবে না। তবে শুধু খবর রাখবেন আগুন টাগুন না দেয়।

আরও পড়ুন: কমলো সয়াবিন তেলের দাম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছেঅ সেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। পণ্য ভিত্তিক দেখলে দেখা যায় তৈরিপোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় ওভার অল ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা যদি বৈশ্বিক আমাদের রপ্তানির ডেস্টিনেশন লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপের তাদের মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ফলে নভেম্বর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।

সচিব বলেন, আমরা যে গন্তব্য বহুমুখী করার কথা বলতাম সেটি হয়েছে। কিন্তু পণ্যের যে বহুমুখীর কথা বলা হয়েছে, সেটি আদৌ হয়নি।

ঢাকা/টিএ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

চলতি অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

আপডেট: ০২:১০:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭২ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই অর্থবছরে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের করে।

আজ বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। সে হিসাবে ৬.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল রপ্তানি আয়।

তিনি বলেন, মানুষ তো আশা নিয়ে বাঁচে। বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরও ভালো রেজাল্ট এসেছে। গত বছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে। এমন সমস্যার পরও তারা ভালো অর্জন করেছে। আমরা গত বছরের টার্গেট এচিভ করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন আসলে খাওয়া তো বন্ধ হবে না। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন আসলে সব বন্ধ থাকবে না। তবে শুধু খবর রাখবেন আগুন টাগুন না দেয়।

আরও পড়ুন: কমলো সয়াবিন তেলের দাম

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছেঅ সেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। পণ্য ভিত্তিক দেখলে দেখা যায় তৈরিপোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় ওভার অল ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা যদি বৈশ্বিক আমাদের রপ্তানির ডেস্টিনেশন লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপের তাদের মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। ফলে নভেম্বর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।

সচিব বলেন, আমরা যে গন্তব্য বহুমুখী করার কথা বলতাম সেটি হয়েছে। কিন্তু পণ্যের যে বহুমুখীর কথা বলা হয়েছে, সেটি আদৌ হয়নি।

ঢাকা/টিএ