চার বছরে ডেবিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে তিনগুণ

- আপডেট: ০৭:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১০৪১৫ বার দেখা হয়েছে
বর্তমান সময়ে মানুষ নগদ টাকায় লেনদেনের তুলনায় ডেবিট কার্ডে বেশি লেনদেন করছে। ডেবিট কার্ড একটি পেমেন্ট কার্ড হিসেবে পরিচিত। যা ব্যবহারে সরাসরি ব্যবহারকারীর কারেন্ট একাউন্ট থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হয়। এই কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রয়ের পাশাপাশি এটিএম মেশিন থেকে টাকা তোলা ও অথোরাইজড মার্চেন্টের কাছে পেমেন্ট করা যাবে। সহজ ভাষায় ডেবিট কার্ড দিয়ে কেনা সেবা বা পণ্যের অর্থ সরাসরি ব্যাংক একাউন্ট থেকে কেটে নিবে। এরই ফলস্রুতিতে চার বছরে ডেবিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে তিনগুন।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চার বছর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ডেবিট কার্ডে লেনদেন হয়েছিলো ১২ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ১৪ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। এরপরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছে ১৮ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লেনদেন হয় ২৪ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা এবং সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
করোনার পরে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে এসবের চাপ সামলে কিছুটা ঘুরে দাড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। তাই মানুষ খরচও বেশি করছে। এখন আর্থিক লেনদেনে এটিএম, সিআরএম ও পিওএসসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের কার্ডে লেনদেন বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: কৃষি ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা
তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৩৬টি। আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একই সময়ে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৯টি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে ৪৫ লাখ ৬৩ হাজার ২৭৭টি। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এধরনের কার্ডের সংখ্যা ছিলো মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩৫টি। অর্থাৎ চার বছরের ব্যবধানে ডেবিট কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭০১টি।
ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের তাদের সেভিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সুযোগ দেয়। অন্যান্য কার্ডের মতো এখানেও নানা অফার থাকতে পারে। তবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই ব্যালেন্স থাকতে হয়। একজন কার্ডধারী পণ্য বা পরিষেবার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে একটি মার্চেন্টের কাছে তাঁর কার্ডটি উপস্থাপন করেন। এরপরই কার্ডে লেনদেনের সূচনা হয়। এদিকে মার্চেন্ট তাদের ক্রেডিট কার্ড মেশিন, সফটওয়্যার বা গেটওয়ে ব্যবহার করে কার্ডধারীর তথ্য এবং লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য তাদের মার্চেন্ট ব্যাংক বা লেনদেন প্রক্রিয়াকারী ব্যাংকের কাছে পাঠায়।
ঢাকা/টিএ