চ্যালেঞ্জের মুখে বস্ত্র শিল্প: শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা

- আপডেট: ০৪:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
- / ১০৬৩৪ বার দেখা হয়েছে
গত দুই বছর (২০২৩ ও ২০২৪) ধরে টেক্সটাইল খাত বা বস্ত্র শিল্প খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি আদেশ কমে গিয়েছে। পরিণতিতে লোকসানের পরিমাণটাও বেড়েছে। আর ব্যাংকের সুদ বাড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের উপর চাপটা আরও বেশি বেড়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাস ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। চলতি বছরেও অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই খাত ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না বল জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদেশি বায়াররা টেক্সটাইল খাতের পণ্যের মূল্য কমিয়েছে। আমাদেরকে লোকসান করে ব্যবসা রান করতে হচ্ছে। লোকসান কাটিয়ে উঠতে না পারায় অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কারণ লোকসান দিয়ে তারা আর চলতে পারছে না। যারা চলতে পারছে না তাদের জন্য সরকার যেন সেইফ এক্সিট পলিসি তৈরি করে। সরকারের পক্ষ থেকে সেইফ এক্সিট পলিসি তৈরি করা হলে তারা এই খাত থেকে চলে যেতে পারবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বিজনেস জার্নালকে বলেন, ব্যাংক আমাদের চরমভাবে অসহযোগিতা করছে। যারা সত্যিকার অর্থে ব্যাংক ডিফল্ডার তাদেরকে ব্যাংক তেমন কিছুই করতে পারছে না। কিন্তু যারা অনিচ্ছাকৃত ব্যংক ডিফল্ডার হয়েছে, তাদেরকে চরমভাবে অসহযোগিতা করছে। এই খাতকে বাঁচাতে হলে ব্যাংকের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। এই খাতের উন্নয়নে গ্যাস, বিদ্যুতের সংকট দূর করতে হবে।
গ্যাসের যে মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, সেটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। এতে করে নতুন শিল্পায়ন হবে না। উপরন্তু শিল্পায়ন বন্ধ হবে। আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতিকে জিরো টলারেন্সে আনতে হবে। দেশে আইন শৃঙ্খলায় চরম অব্যবস্থাপনা চলছে। কোনো আইন বলতে কিছু নেই। যার যা কিছু করছে, শ্রমিকরা যখন মোন চাচ্ছে, তখনই আন্দোলন করছে, ভাঙচুর করছে, ফ্যক্টরি বন্ধ করছে। এসব অরাজকতা বন্ধ করতে না পারলে ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে যাবে। দ্রুতই এসব অরাজকতা বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছি। সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে ট্যাক্স দিচ্ছি। যারা ব্যবসা করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ব্যবসায় লোকসান করেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, তাদেরকে সরকার যথাযথ শাস্তি প্রদান করুক। কিন্তু যারা ব্যবসা করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত লোকসান করেছে, তাদের পাশে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো মধ্যে ১৪টি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না। ১১টি কোম্পানি চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪) লোকসানে রয়েছে, ৬টি কোম্পানির আয় কমেছে এবং ২ কোম্পানির আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ২১টি কোম্পানির আয় বেড়েছে।
আমান কটন ফাইবার্স: কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.২৪ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.০৩ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ০.২১ টাকা।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২৪ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ১৮.৩০ টাকা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০.৭৭ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০.৫৩ টাকা। বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ০.২৪ টাকা।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ৯৫.৬০ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটি ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ শেয়ার দর ছিল ৬.৯০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাংক খাত পেলেও সংস্কার সহায়তা পায়নি পুঁজিবাজার: মমিনুল ইসলাম
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.০১ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ০.২২ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান কমেছে ০,০১ টাকা।
গত দুই বছর ধরে কোম্পানিটি কোনো প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১১.৯০ টাকা।
আনলিমার্ন ডাইং: কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৯০ টাকা। এর আগের হিসাব বছরেরর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ০.১৬। এক্ষেত্রে লোকসান বেড়েছে ০.৭৪ টাকা।
গত তিন বছর ধরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভডেন্ড প্রদান করছে না। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সমাপনী শেয়ার ছিল ২১.৯০ টাকা।
এপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস: কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৯৬ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.৮৯ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ০.০৭ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটি বিনিযোগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯৩.৬০ টাকা।
আর্গন ডেনিমস: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হযেছে ০.৪৫ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.২৯ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ০.১৬ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৬.১০ টাকা।
দ্যা ডাক্কা ডাইং: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৪৪ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা লোকসান ছিল ০.৪২ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান বেড়েছে ০.০২ টাকা।
গত দুই বছর কোম্পানিটি বিনিযোগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৫.৬০ টাকা।
ডেল্টা স্পিনার্স : চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ০.০৯ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান কমেছে ০.০২ টাকা।
২০১৫ সালের পর থেকে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৪.৫০ টাকা।
দেশ গার্মেন্টস: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ০.২৪ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.৩১ টাকা। এক্ষেত্রে ইপিএস কমেছে ০.০৭ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৭৩.৬০ টাকা।
ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩০ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.১১ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ০.১৯ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিযোগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন: নতুন কমিশনের পাঁচ মাসে লেনদেন কমেছে ৫৫ শতাংশ
দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস: কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.২১ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০.২৬ টাকা।
অনেক বছর ধরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড প্রদান করছে না। বৃহস্পতিবার কোম্পানির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৭৩.২০ টাকা।
এস্কয়ার নিট কম্পোজিট পিএলসি: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে লোকসান হয়েছে ০.৪৯ টাকা। এক্ষেত্রে লোকসান কমেছে ০.৪২ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ সালে কোম্পানি বিনিযোগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৯.২০ টাকা।
ইভেন্স টেক্সটাইল লিমিটেড: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.০১ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ০.০১ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বাড়েও নি আবার কমেও নি
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিযোগকারীদের ২.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৮০ টাকা।
ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৩৮ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.১৭ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ১৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৮.২০ টাকা।
হামিদ ফ্যাব্রিকস পিএলসি: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১.০৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হযেছিল ০.১১ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘নো’ ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৯.৫০ টাকা।
এইচ.আর.টেক্সটাইল লিমিটেড: কোম্পানির চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২.৮২ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে আয় হয়েছে ০.৯৪ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৩০ টাকা
হা অয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসি: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১.১৭ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১.৩৮ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ০.২১ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরের প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৪১.৫০ টাকা।
ম্যাকসনস স্পিনিং মিলস পিএলসি: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১.৭১ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ১.০৬ টাকা। বছরের ব্যবধানে লোকসান বেড়েছে ০.৬৫ টাকা।
গত দু্ই বছর কোম্পানি কোনো ডিভিডেন্ড প্রদান করেনি। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৬.৫০ টাকা।
মালেক স্পিনিং মিলস পিএলসি: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.৭৩ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ১.৯০ টাকা। এক্ষেত্রে আয় কমেছে ০.১৭ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২৩.৬০ টাকা।
মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.০৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ১.০১ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিযোগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৪২.৬০ টাকা।
মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ০.১৭ টাকা, এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.১৫ টাকা। আয় বেড়েছে ০.০২ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে ৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৩.৩০ টাকা।
এম.এল. ডাইং লিমিটেড: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.০৬ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময় যা ছিল ০.০১ টাকা। এক্ষেত্রে আয় বেড়েছে ০.০৫ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৮.৮০ টাকা।
মন্নো ফ্যাব্রিকস লিমিটেড: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.০৩ টাকা। এর আগের হিসাব বছরের একই সময়ে একই পরিমাণ অর্থাৎ ০.০৩ টাকা শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে। বছরের ব্যবধানে কোম্পানির আয় বাড়েও নি আবার কমেও নি।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৬.৪০ টাকা।
প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসি: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১.০৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১.৩৪ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ০.২৭ টাকা।
৩০ জুন ২০২৪ হিসাব বছরে কোম্পানি ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৪৫.১০ টাকা।
কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.০৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.০৭ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ০.০১ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে (৩০ জুন ২০২৪) কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ ক্যশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১২.৯০ টাকা।
রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৭৯ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.৮৬ টাকা। বছরের ব্যবধানে লোকসান কমেছে ০.০৭ টাকা।
২০১৯ সালের পর থেকে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার ছিল ৩.৯০ টাকা।
সাফকো স্পিনিংস মিলস লিমিটেড: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪.৭৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৪.৯০ টাকা। বছরের ব্যবধানে লোকসান কমেছে ০.১৩ টাকা।
২০২২ সালের পর থেকে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার কোম্পানির সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৮.৯০ টাকা।
সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.২৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.১৩ টাকা। বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ০.১৪ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৪.৮০ টাকা।
সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.২১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.০৭ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ০.১৪ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৪.৮০ টাকা।
শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.১৫ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.০১ টাকা। বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ০.১৪ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২৪.২০ টাকা।
শাশা ডেনিমস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.৪০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.২৭ টাকা। ইপিএস বেড়েছে ০.১৩ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৭.৭০ টাকা।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.১৪ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় লোকসান হয়েছে ০.৫২ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৪.১০ টাকা।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিতে কাজ করছে ডিএসই: চেয়ারম্যান
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.২৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.২১ টাকা। এক্ষেত্রে ইপিএস বেড়েছে ০.০৭ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেড: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.০২ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় লোকসা হয়েছে ০.০৮ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ২৯.৪০ টাকা।
স্কয়ার টেক্সটাইলস পিএলসি: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১.৯০ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ১.৭৯ টাকা। বছরের ব্যবধানে ইপিএস বেড়েছে ০.১১ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ৩২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৪৯.৮০ টাকা।
স্টাইলক্রাফ লিমিটেড: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ০.০৩ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় লোকসান হয়েছে ১.৯১ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৫৩.৮০ টাকা।
তাল্লু স্পিনিং মিলস লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০.৪৬ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় লোকসান হয়েছে ০.৪৮ টাকা। বছরের ব্যবধানে লোকসান কমেছে ০.০২ টাকা।
২০১৫ সালের পর থেকে কোম্পানি কোনো ধরনের ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৫ টাকা।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলস মিলস পিএলসি: চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৮৮ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.৮৬ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ০.০২ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ২১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১০৫.৫০ টাকা।
তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড: প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ০.৩৩ টাকা। বছরের ব্যবধানে আয় কমেছে ০.২৬ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ৩.৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ১৮.৯০ টাকা।
ভিএফস থ্রেড ডাইং লিমিটেড: কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ০.০১ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.০২ টাকা। বছরের ব্যবধানে ইপিএস কমেছে ০.০১ টাকা।
সদ্য বিদায়ী বছরে কোম্পানি ‘নো’ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সমাপনী শেয়ার দর ছিল ৭.৭০ টাকা।
জাহিন স্পিনিং পিএলসি: প্রথম প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে ০.০৭ টাকা। এর আগের বছরের একই সময় যা ছিল ০.০৮ টাকা। বছরের ব্যবধানে লোকসান কমেছে ০.০১ টাকা।
এদিকে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড, নুরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড, প্রাইম টেক্সটাইলস স্পিনিং মিলস লিমিটেড, রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসি, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস লিমিটেড, কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড, ফ্যামিলিটেক্স (বিডি) লিমিটেড, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল লিমিটেড, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়নি।
ঢাকা/টিএ