১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছয় হাউজে বিনিয়োগকারীদের ১৮ কোটি টাকার হদিস নেই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
  • / ১০৫০৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এবার ছয় সিকিউরিটিজ হাউজে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকার ঘাটতি পেয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল। সিকিউরিটিজ হাউজগুলো হচ্ছে- এম সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, বালি সিকিউরিটিজ, ডিএমআর সিকিউরিটিজ,  হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ এবং শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

সম্প্রতি ডিএসই একটি চিঠির মাধ্যমে এসব হাউজের গ্রাহক সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকার ঘাটতি পেয়েছে বলে  নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ডিএসইর পরিদর্শনে এম সিকিউরিটিজ লিমিটেডে সবচয়ে বেশি ঘাটতি পাওয়া গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ১০ কোটি টাকা। এছাড়াও আইল্যান্ড সিকিউরিটিজে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা,  বালি সিকিউরিটিজে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা, ডিএমআর সিকিউরিটিজ সার্ভিসের ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজের ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং শার্প সিকিউরিটিজের হিসাবে ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার ঘাটতি পাওয়া গিয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে  বেশকিছু অভিযোগ থাকায় বিএসইসি গত ১২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ২০২০ এর নিয়ম ৬(৫) অনুযায়ী ডিএসই হাউজগুলো পরিদর্শন করে।

এদিকে গত ২২ মার্চ এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিটি সুবিধা স্থগিত করা, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া লভ্যাংশ স্থগিত এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা।

তার আগের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেওয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।

বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কিছু ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজের ঘাটতি উদঘাটিত হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান (ট্রেক হোল্ডার) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি করেছে তাদের ‘ফ্রি লিমিট সুবিধা’ এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন শেয়ারের ডিভিডেন্ড স্থগিত থাকবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান নতুন করে কোনো শাখা বা বুথ খুলতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর ডিএসই এবং সিএসইকে এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে দুবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা শেয়ার পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে

শেয়ার করুন

ছয় হাউজে বিনিয়োগকারীদের ১৮ কোটি টাকার হদিস নেই

আপডেট: ১০:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: এবার ছয় সিকিউরিটিজ হাউজে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকার ঘাটতি পেয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিদর্শক দল। সিকিউরিটিজ হাউজগুলো হচ্ছে- এম সিকিউরিটিজ, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, বালি সিকিউরিটিজ, ডিএমআর সিকিউরিটিজ,  হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজ এবং শার্প সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

সম্প্রতি ডিএসই একটি চিঠির মাধ্যমে এসব হাউজের গ্রাহক সমন্বিত হিসাবে ১৮ কোটি টাকার ঘাটতি পেয়েছে বলে  নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জানিয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ডিএসইর পরিদর্শনে এম সিকিউরিটিজ লিমিটেডে সবচয়ে বেশি ঘাটতি পাওয়া গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত হিসেবে ঘাটতি রয়েছে ১০ কোটি টাকা। এছাড়াও আইল্যান্ড সিকিউরিটিজে ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা,  বালি সিকিউরিটিজে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা, ডিএমআর সিকিউরিটিজ সার্ভিসের ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, হেদায়েতুল্লাহ সিকিউরিটিজের ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং শার্প সিকিউরিটিজের হিসাবে ৩ লাখ ২৬ হাজার টাকার ঘাটতি পাওয়া গিয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এ হাউজগুলোর বিরুদ্ধে  বেশকিছু অভিযোগ থাকায় বিএসইসি গত ১২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা, ২০২০ এর নিয়ম ৬(৫) অনুযায়ী ডিএসই হাউজগুলো পরিদর্শন করে।

এদিকে গত ২২ মার্চ এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে লিমিটি সুবিধা স্থগিত করা, যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আইপিও কোটা সুবিধা বাতিল, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার বিপরীতে পাওয়া লভ্যাংশ স্থগিত এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন এবং নতুন শাখা ও বুথ খোলা বন্ধ রাখা।

তার আগের দিন অর্থাৎ ২১ মার্চ বিনিয়োগকারীদের আমানত অর্থাৎ শেয়ার ও অর্থ সরিয়ে নেওয়া তামহা সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং বানকো সিকিউরিটিজসহ ২৫টি ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন সনদ নবায়ন বন্ধসহ নানা সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।

বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন কিছু ট্রেক হোল্ডার কোম্পানির সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীতে গ্রাহকদের সিকিউরিটিজের ঘাটতি উদঘাটিত হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি এবং পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠান (ট্রেক হোল্ডার) বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানি করেছে তাদের ‘ফ্রি লিমিট সুবিধা’ এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন শেয়ারের ডিভিডেন্ড স্থগিত থাকবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি ও ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীর নিবন্ধন সনদ নবায়ন স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান নতুন করে কোনো শাখা বা বুথ খুলতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট ট্রেক হোল্ডার কোম্পানি কর্তৃক গ্রাহকদের বিনিয়োগকরা অর্থ ও সিকিউরিটিজের ঘাটতি সমন্বয় করার পর ন্যূনতম এক বছর ডিএসই এবং সিএসইকে এসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে দুবার সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা শেয়ার পরীক্ষা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এইচকে