১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জমি কেনাবেচার নিবন্ধন খরচ কমলো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / ১০২৯০ বার দেখা হয়েছে

জমি কেনা-বেচার নিবন্ধন খরচ কমিয়েছে সরকার। এলাকাভেদে সর্বোচ্চ নিবন্ধন খরচ দুই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। ফলে এখন এক লাখ টাকার জমির নিবন্ধন করতে খচর কমবে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান। অর্থ উপদেষ্টা জানান, ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাঠার পরিবর্তে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে জমি হস্তান্তর থেকে উৎসে কর সংগ্রহের বিদ্যমান মূলধনী মুনাফা কর হার কমিয়ে এলাকাভেদে বিদ্যমান হার ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের স্থলে যথাক্রমে ৬, ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ এ হ্রাস করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।

এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। সংসদ না থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: বাজেটে ১০০ কোটি টাকা স্টার্ট-আপ তহবিলের প্রস্তাব

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যেকোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

জমি কেনাবেচার নিবন্ধন খরচ কমলো

আপডেট: ০৬:৩২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

জমি কেনা-বেচার নিবন্ধন খরচ কমিয়েছে সরকার। এলাকাভেদে সর্বোচ্চ নিবন্ধন খরচ দুই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। ফলে এখন এক লাখ টাকার জমির নিবন্ধন করতে খচর কমবে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সোমবার (০২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা জানান। অর্থ উপদেষ্টা জানান, ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাঠার পরিবর্তে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের লক্ষ্যে জমি হস্তান্তর থেকে উৎসে কর সংগ্রহের বিদ্যমান মূলধনী মুনাফা কর হার কমিয়ে এলাকাভেদে বিদ্যমান হার ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের স্থলে যথাক্রমে ৬, ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ এ হ্রাস করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। এবারের বাজেটটি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, যা পূর্ববর্তী বছরগুলোর বাজেটের তুলনায় ভিন্ন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।

এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। সংসদ না থাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর আগে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৭-০৮ ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের বাজেট টেলিভিশন ও বেতারের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: বাজেটে ১০০ কোটি টাকা স্টার্ট-আপ তহবিলের প্রস্তাব

বিগত বছরগুলোতে প্রতিবার বাজেট দেওয়া হতো জুনের প্রথম দিকে যেকোনো বৃহস্পতিবার। পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হওয়ার আগেই এবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা। বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায়। বরাবরের মতো এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করার সুযোগ পাবেন।

ঢাকা/টিএ