০৭:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১০২৯৪ বার দেখা হয়েছে

১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়গাথা বীরত্বের ইতিহাস। এই দিনে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিজয়। এক প্রহর পর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদেশি কূটনীতিকরা। তাই তো গত দেড় মাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতিসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা, সিঁড়ি রং-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মহূর্তের প্রস্তুতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পরিচ্ছন্নকর্মীরাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করতে পেরে গর্বিত। এদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করতে পেরে অনেক গর্ববোধ করি। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের জন্য কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা এখানে কাজ করে যেমন জীবিকা নির্বাহ করি ঠিক তেমনি সম্মানিত হই। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই শহীদদের খেদমতে কাজ করার জন্য যেন সুযোগ পাই সেই দোয়াই সবসময় করি।

পরিচ্ছন্নকর্মী রঙমালা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখানে প্রতিটি দিবসে ধোয়া-মোছার কাজ করি। জাতীয় স্মৃতিসৌধই আমার সংসার, এখানেই আমার ঠিকানা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা জীবন বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। শহীদদের আমরা দেখিনি, কিন্তু তাদের উদারতার কথা শুনেছি। এসব দিবস আসলে আরও বেশি উপলব্ধি করা যায়।

প্রায় দেড় মাস ধরে স্মৃতিসৌধের প্রধান ও দ্বিতীয় ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডিভাইডারসহ স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা এবং সিঁড়িতে রং-তুলির আঁচড়ে নতুনত্বের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুরো সৌধ প্রাঙ্গনের ভেতরে বাহারি ফুলের চারা দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। রংবেরঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া লেকের পাড় সংস্কারের পাশাপাশি পানি পরিষ্কার করার কাজ শেষ হয়েছে। সৌধ এলাকার চারদিকে কয়েকশ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সৌধ এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: যুব মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিরাপত্তার ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সৌধ এলাকাসহ মহাসড়কে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ উপলক্ষে প্রায় দেড় মাস ধরে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে ও রং-তুলির আঁচড়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া আলোকসজ্জাসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত।

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত স্মৃতিসৌধ

আপডেট: ০১:১৮:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়গাথা বীরত্বের ইতিহাস। এই দিনে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বিজয়। এক প্রহর পর জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধা জানাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদেশি কূটনীতিকরা। তাই তো গত দেড় মাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতিসহ কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সাভারের নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। জাতীয় স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা, সিঁড়ি রং-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চলছে শেষ মহূর্তের প্রস্তুতি।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

পরিচ্ছন্নকর্মীরাও জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করতে পেরে গর্বিত। এদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে কাজ করতে পেরে অনেক গর্ববোধ করি। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন তাদের জন্য কাজ করতে পারাটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা এখানে কাজ করে যেমন জীবিকা নির্বাহ করি ঠিক তেমনি সম্মানিত হই। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই শহীদদের খেদমতে কাজ করার জন্য যেন সুযোগ পাই সেই দোয়াই সবসময় করি।

পরিচ্ছন্নকর্মী রঙমালা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এখানে প্রতিটি দিবসে ধোয়া-মোছার কাজ করি। জাতীয় স্মৃতিসৌধই আমার সংসার, এখানেই আমার ঠিকানা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা জীবন বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। শহীদদের আমরা দেখিনি, কিন্তু তাদের উদারতার কথা শুনেছি। এসব দিবস আসলে আরও বেশি উপলব্ধি করা যায়।

প্রায় দেড় মাস ধরে স্মৃতিসৌধের প্রধান ও দ্বিতীয় ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডিভাইডারসহ স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্থাপনা এবং সিঁড়িতে রং-তুলির আঁচড়ে নতুনত্বের রূপ দেওয়া হয়েছে। পুরো সৌধ প্রাঙ্গনের ভেতরে বাহারি ফুলের চারা দিয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। রংবেরঙের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া লেকের পাড় সংস্কারের পাশাপাশি পানি পরিষ্কার করার কাজ শেষ হয়েছে। সৌধ এলাকার চারদিকে কয়েকশ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সৌধ এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: যুব মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিরাপত্তার ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সৌধ এলাকাসহ মহাসড়কে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ উপলক্ষে প্রায় দেড় মাস ধরে পুরো সৌধ প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে ও রং-তুলির আঁচড়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া আলোকসজ্জাসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। শ্রদ্ধা নিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত।