সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি ও মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেক দিন ধরে বৈদেশিক আয়ের ওপর কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। বাজেটের এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগ বাড়বে। তাতে কর্মসংস্থানও বাড়বে। সমুদ্রগামী জাহাজশিল্প শুধু বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না, দেশীয় পণ্য পরিবহন করে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় করছে। সরকারের নীতিসহায়তা এই শিল্প খাতকে এগিয়ে নেবে।’
নীতিসহায়তা কতটুকু: বছর পাঁচেক আগেও সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে বিনিয়োগে নানা বাধা ছিল। ২০১৮ সাল থেকে একটু একটু করে নীতিসহায়তা দিতে থাকে সরকার। এরপরই এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেন বড় উদ্যোক্তারা। সরকারি নীতিসহায়তা দেওয়া হলে বিনিয়োগ যে বাড়ে, তার উদাহরণ সমুদ্রগামী জাহাজশিল্প খাত। যেমন করোনার পর সমুদ্রগামী জাহাজের বহরে ৩৩টি জাহাজ যুক্ত করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। এ বছরের শুরুতে তা ৮১টিতে উন্নীত হয়।
সরকারের নীতিসহায়তার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে শর্তসাপেক্ষে জাহাজ আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট/মূসক) অব্যাহতি দেওয়া ও ২০১৯ সালে দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে ৫০ শতাংশ পণ্য পরিবহনের বাধ্যবাধকতা রেখে আইন প্রণয়ন। গত অর্থবছরের বাজেটে আগাম কর প্রত্যাহার, পুরোনো জাহাজের আয়ুষ্কাল ২২ বছরের পরিবর্তে ২৫ বছর এবং আমদানির পর বিক্রয়ের সময়সীমা ৫ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর নির্ধারণ করা। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে ভাড়ার বৈদেশিক আয়ের ওপর কর ছাড়।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, এত দিন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ওপর ৩ শতাংশ কর দিতে হতো। এটা এখন দিতে হবে না, যা ইতিবাচক।
বৈদেশিক আয় বেড়েছে ১৪৫%
করোনা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় ২০২০ সালের শেষ দিক থেকে পণ্য পরিবহনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাতে বাড়তে থাকে জাহাজভাড়াও। জাহাজভাড়া যখন বাড়ছে, ঠিক সে সময় দেশীয় উদ্যোক্তারা একের পর এক জাহাজ পানিতে ভাসিয়েছেন। তাতে এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে রেকর্ড হয়েছে।
ঢাকা/টিএ