০৪:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

টিআইবির হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী 

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:২৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৪১৯ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এ হিসাবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে তারা পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড়ো গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল— পদ্মাসেতুতে তো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। নানা সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়— সেগুলো আসলে গবেষণা না। কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

যে সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা নতুন সরকারে এলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না— সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ইশতেহারে গুরুত্ব পেল ১১ বিষয়

তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারা দিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে পনেরো কেজি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা আরো বেশি। চট্টগ্রামে এক হাজার টাকার নিচে দিনমজুর পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সবসময় বেড়েছে।

দেশে যত না মূল্য বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই কথা সত্য— মাঝে মধ্যে ব্যবসায়িক চক্র, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট কোনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়; এভাবে তারা ফায়দা লুটে। ভারতের একটি পত্রিকায় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর যখন ঢাকার অনলাইনেও প্রকাশিত হয়, তখন কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই?

মন্ত্রী বলেন, এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী চক্র, অসাধু চক্র, যারা দেশে মাঝে মধ্যে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেটা আমরা করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

টিআইবির হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী 

আপডেট: ০৪:২৪:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

আওয়ামী লীগের ৮৭ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এ হিসাবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে তারা পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড়ো গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল— পদ্মাসেতুতে তো দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। নানা সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়— সেগুলো আসলে গবেষণা না। কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

যে সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা নতুন সরকারে এলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না— সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের ইশতেহারে গুরুত্ব পেল ১১ বিষয়

তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারা দিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে পনেরো কেজি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা আরো বেশি। চট্টগ্রামে এক হাজার টাকার নিচে দিনমজুর পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সবসময় বেড়েছে।

দেশে যত না মূল্য বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে দাবি করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই কথা সত্য— মাঝে মধ্যে ব্যবসায়িক চক্র, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট কোনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়; এভাবে তারা ফায়দা লুটে। ভারতের একটি পত্রিকায় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবর যখন ঢাকার অনলাইনেও প্রকাশিত হয়, তখন কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই?

মন্ত্রী বলেন, এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি।

তিনি আরও বলেন, আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী চক্র, অসাধু চক্র, যারা দেশে মাঝে মধ্যে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফা লাভের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেটা আমরা করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি।

ঢাকা/এসএম