০২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

টিকটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৪৫২ বার দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ব্যবহার বন্ধের জন্য আগামী মাসে একটি বিলের ওপর ভোটের পরিকল্পনা করছে দ্য হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। প্যানেলের চেয়ারম্যান রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককাউলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য হোয়াইট হাউসকে আইনি সরঞ্জাম দেওয়া হবে। ব্লুমবার্গ নিউজকে ম্যাককাউল জানান, উদ্বেগের বিষয় হলো অ্যাপটি ব্যবহার করে চীনা সরকার আমাদের উপর নজরদারি করার চেষ্টা করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ব্যবহারকারীদের টিকটক ডাউনলোড করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালের জুনে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করে। এরপর ডিসেম্বরে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য দ্বিপক্ষীয় আইন উন্মোচন করেন। এর উদ্দেশ্যই ছিল চীন ও রাশিয়ার প্রভাবিত যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করা।

তবে বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিংয়ের অ্যাপ্লিকেশনটি নিষিদ্ধ করতে চাইলে কংগ্রেসকে বাধার মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এ জন্য সিনেটে কমপক্ষে ৬০ ভোটের প্রয়োজন হবে।

তিন বছর ধরে টিকটক ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করে বলছে, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য তারা অ্যাক্সেস করবে না এবং এটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা বেইজিংয়ের প্রভাবে অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

আরও পড়ুন: ফেসবুক মেসেঞ্জারে বড় পরিবর্তন আসছে

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জিনপিয়েরে শুক্রবার বিলটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। জিনপিয়েরে বলেছেন, এটি সিএফআইইউএস দ্বারা পর্যালোচনাধীন রয়েছে, তাই আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাই না।

গত মাসে বাইডেন একটি আইনে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে ফেডারেল কর্মীদের সরকারি মালিকানাধীন ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার বা ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডিভাইসে টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

টিকটক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র!

আপডেট: ১১:৩২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক ব্যবহার বন্ধের জন্য আগামী মাসে একটি বিলের ওপর ভোটের পরিকল্পনা করছে দ্য হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। প্যানেলের চেয়ারম্যান রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককাউলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য হোয়াইট হাউসকে আইনি সরঞ্জাম দেওয়া হবে। ব্লুমবার্গ নিউজকে ম্যাককাউল জানান, উদ্বেগের বিষয় হলো অ্যাপটি ব্যবহার করে চীনা সরকার আমাদের উপর নজরদারি করার চেষ্টা করছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০২০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন ব্যবহারকারীদের টিকটক ডাউনলোড করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যবহার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালের জুনে বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করে। এরপর ডিসেম্বরে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য দ্বিপক্ষীয় আইন উন্মোচন করেন। এর উদ্দেশ্যই ছিল চীন ও রাশিয়ার প্রভাবিত যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করা।

তবে বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও শেয়ারিংয়ের অ্যাপ্লিকেশনটি নিষিদ্ধ করতে চাইলে কংগ্রেসকে বাধার মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এ জন্য সিনেটে কমপক্ষে ৬০ ভোটের প্রয়োজন হবে।

তিন বছর ধরে টিকটক ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করে বলছে, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য তারা অ্যাক্সেস করবে না এবং এটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা বেইজিংয়ের প্রভাবে অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।

আরও পড়ুন: ফেসবুক মেসেঞ্জারে বড় পরিবর্তন আসছে

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জিনপিয়েরে শুক্রবার বিলটি নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। জিনপিয়েরে বলেছেন, এটি সিএফআইইউএস দ্বারা পর্যালোচনাধীন রয়েছে, তাই আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাই না।

গত মাসে বাইডেন একটি আইনে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে ফেডারেল কর্মীদের সরকারি মালিকানাধীন ডিভাইসে টিকটক ব্যবহার বা ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডিভাইসে টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা/এসএম