০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১০৫০৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বহু প্রতিক্ষার পর গত বছরের অক্টোবরে চালু হওয়া ট্রেজারি বন্ডে নেই কোন কেনাবেচা। এমতাবস্থায় বন্ড বাজারকে গতিশীল করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি করেছে।

রোববার জারি করা বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনা ও ঝুঁকি হ্রাস করতে নিজ পোর্টফোলিওর অন্তত ১ শতাংশ তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে আগামী জুনের মধ্যে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে তালিকাভুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে অন্তত তিন শতাংশ বিনিয়োগ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে ওই বছরের ২৩ মে একটি নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। কেউ এ নির্দেশনা পরিপালন করতে না পারায় ওই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২৩ করা হয়েছে।

মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, গত বছরের নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণ বন্ড বাজারে কারও আগ্রহ নেই। বেক্সিমকোর সুকুক (শরিয়াহ বন্ড) ছাড়া অন্য কোনো বন্ডের ক্রেতা নেই, বিক্রেতাও পাওয়া যায় না। কেউ বিক্রি না করলে, অন্য কেউ কীভাবে বন্ডে বিনিয়োগ করবে। এ কারণে নির্দেশনা পরিপালনে সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। একদিকে বন্ডে বিনিয়োগ লাভজনক, অন্যদিকে টাকা আটকে থাকে।

আরও পড়ুন: আরামিট লিমিটেডের আয় কমেছে ৪৪ শতাংশ

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর দেশের দুই পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এখন ২৪৭টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর বাইরে বেসরকারি বন্ড আছে ১০টি। এর মধ্যে বেক্সিমকোর সুকুক ছাড়া বাকিগুলোর লেনদেন হয় না। এখানে ক্রেতা বা বিক্রেতা, কোনো দিক থেকেই চাহিদা থাকে না।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি

আপডেট: ০২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বহু প্রতিক্ষার পর গত বছরের অক্টোবরে চালু হওয়া ট্রেজারি বন্ডে নেই কোন কেনাবেচা। এমতাবস্থায় বন্ড বাজারকে গতিশীল করতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ট্রেজারি বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা জারি করেছে।

রোববার জারি করা বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিনিয়োগে বৈচিত্র্য আনা ও ঝুঁকি হ্রাস করতে নিজ পোর্টফোলিওর অন্তত ১ শতাংশ তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থাকতে হবে। এ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে আগামী জুনের মধ্যে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে তালিকাভুক্ত ডেট সিকিউরিটিজে অন্তত তিন শতাংশ বিনিয়োগ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে ওই বছরের ২৩ মে একটি নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। কেউ এ নির্দেশনা পরিপালন করতে না পারায় ওই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২৩ করা হয়েছে।

মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকার ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে, গত বছরের নির্দেশনাটি বাস্তবায়ন করতে না পারার কারণ বন্ড বাজারে কারও আগ্রহ নেই। বেক্সিমকোর সুকুক (শরিয়াহ বন্ড) ছাড়া অন্য কোনো বন্ডের ক্রেতা নেই, বিক্রেতাও পাওয়া যায় না। কেউ বিক্রি না করলে, অন্য কেউ কীভাবে বন্ডে বিনিয়োগ করবে। এ কারণে নির্দেশনা পরিপালনে সময় বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। একদিকে বন্ডে বিনিয়োগ লাভজনক, অন্যদিকে টাকা আটকে থাকে।

আরও পড়ুন: আরামিট লিমিটেডের আয় কমেছে ৪৪ শতাংশ

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর দেশের দুই পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন চালু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এখন ২৪৭টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত আছে। এর বাইরে বেসরকারি বন্ড আছে ১০টি। এর মধ্যে বেক্সিমকোর সুকুক ছাড়া বাকিগুলোর লেনদেন হয় না। এখানে ক্রেতা বা বিক্রেতা, কোনো দিক থেকেই চাহিদা থাকে না।

ঢাকা/এসএ