০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

ডিএসই’র কমপ্লায়েন্স অডিটের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
  • / ১০৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএসইকে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর বাছাইকৃত নিরীক্ষককে চারটি বিষয়ে লক্ষ্য রেখে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ডিএসইর নিয়ন্ত্রক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, আচরণবিধি, নৈতিকতা ও অন্যান্য বিষয়সহ কমপ্লায়েন্স অডিট যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কমপ্লায়েন্স অডিট পরিচালনার জন্য প্রতিযোগিতামূলক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলোর মধ্য থেকে একটিকে নির্বাচন করবে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলো হলো—হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং, একনাবিন এবং এম জে আবেদিন অ্যান্ড কোং। নিরীক্ষককে চারটি বিষয় লক্ষ্য রেখে নিয়োগের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলো।

চিঠিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলো হচ্ছে—এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩ এর উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মালিকানা বাড়ানো এবং ট্রেডিং অধিকারের বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম, ২০১৩ এর ক্লজ ৯.২.৩ অনুযায়ী ডিমিউচুয়ালাইজেশন উদ্দেশ্যগুলো অর্জন এবং তা অর্জনের জন্য ডিএসই থেকে নেওেয়া উদ্যোগের পাশাপাশি তাদের অর্জনের বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (বোর্ড এবং প্রশাসন) রেগুলেশন, ২০১৩ এবং এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩ এর বিধান অনুসারে ডিএসইর চলমান কার্যাবলী ও আচরণবিধি, নৈতিকতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। সর্বশেষ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে নিরীক্ষককে বিএসইসি এবং ডিএসইর সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে হবে, যাতে অডিট ইস্যু ও তাদের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে তা সমাধান করা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসইসি থেকে আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কাজের বিষয় উল্লেখ করে একটি রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল তাদের কাছে এ সপ্তাহে পাঠানো হবে। তারা এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে একটি কোটেশন পাঠাবে। সেই কোটেশন বিএসইসির কাছে পাঠানোর পর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নির্বাচন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন মেনে ডিএসইর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে নিরীক্ষা করা সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) করা হয়। এ অবস্থায় দীর্ঘ আট বছরে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ডিএসই’র কমপ্লায়েন্স অডিটের জন্য নিরীক্ষক নিয়োগের নির্দেশ

আপডেট: ১২:০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কার্যক্রম নিরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ডিএসইকে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসইর বাছাইকৃত নিরীক্ষককে চারটি বিষয়ে লক্ষ্য রেখে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।

সম্প্রতি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে ডিএসইর নিয়ন্ত্রক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ডিএসই ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, আচরণবিধি, নৈতিকতা ও অন্যান্য বিষয়সহ কমপ্লায়েন্স অডিট যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কমপ্লায়েন্স অডিট পরিচালনার জন্য প্রতিযোগিতামূলক বিডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তাবিত চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলোর মধ্য থেকে একটিকে নির্বাচন করবে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্মগুলো হলো—হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং, একনাবিন এবং এম জে আবেদিন অ্যান্ড কোং। নিরীক্ষককে চারটি বিষয় লক্ষ্য রেখে নিয়োগের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলো।

চিঠিতে উল্লেখ করা বিষয়গুলো হচ্ছে—এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩ এর উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মালিকানা বাড়ানো এবং ট্রেডিং অধিকারের বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিম, ২০১৩ এর ক্লজ ৯.২.৩ অনুযায়ী ডিমিউচুয়ালাইজেশন উদ্দেশ্যগুলো অর্জন এবং তা অর্জনের জন্য ডিএসই থেকে নেওেয়া উদ্যোগের পাশাপাশি তাদের অর্জনের বিষয়ে পরীক্ষা করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (বোর্ড এবং প্রশাসন) রেগুলেশন, ২০১৩ এবং এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৩ এর বিধান অনুসারে ডিএসইর চলমান কার্যাবলী ও আচরণবিধি, নৈতিকতা এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। সর্বশেষ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে নিরীক্ষককে বিএসইসি এবং ডিএসইর সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করতে হবে, যাতে অডিট ইস্যু ও তাদের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার আগে তা সমাধান করা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসইসি থেকে আমরা একটি চিঠি পেয়েছি। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের কাজের বিষয় উল্লেখ করে একটি রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল তাদের কাছে এ সপ্তাহে পাঠানো হবে। তারা এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে একটি কোটেশন পাঠাবে। সেই কোটেশন বিএসইসির কাছে পাঠানোর পর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নির্বাচন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে বিএসইসির নিয়মিত কমিশন সভায় ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন মেনে ডিএসইর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে নিরীক্ষা করা সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। ২০১৩ সালে স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) করা হয়। এ অবস্থায় দীর্ঘ আট বছরে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এ নিরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/এসআর