০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটির বেশি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:৫১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
  • / ১০৩৪৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৪-২৮ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তীব্র দরপতন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪৬.০১ পয়েন্ট কমেছে। অন্যদিকে ডিএসইতে লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪.৩৮ শতাংশ। এছড়া ডিএসইর ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটির টাকা বেশি। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩৯৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮ হাজার ৭০ টাকার বা ১৪.৩৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪৬ দশমিক ০১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ডিএসই-৩০ মূল্য সূচক। গত সপ্তাহে বাজার মূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে  ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৬.৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ২৯৭টির। আর ২৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।সপ্তাহ শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ০৩ হাজার ১১৯ কোটি ০৪ লাখ ৬৬ হাজার ০০৮ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি ০৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪২১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ১১ হাজার ০০৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকা কমেছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ১৮৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭০.৮২ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৭.৫৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২২১.৪৩ পয়েন্ট বা ২.০৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮৫.৬০ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৪.৪৭ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৫.০৯ পয়েন্ট বা ২.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৫৪২.৬৯ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৯৬৬.৭৫ পয়েন্টে, এক হাজার ২৯৩.২৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১০৮.১৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬২টির বা ১৮.১৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৬১টির বা ৭৬.৫৪ শতাংশের কমেছে এবং ১৮টির বা ৫.২৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটির বেশি

আপডেট: ০৪:৫১:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৪-২৮ জুলাই) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তীব্র দরপতন হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৪৬.০১ পয়েন্ট কমেছে। অন্যদিকে ডিএসইতে লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪.৩৮ শতাংশ। এছড়া ডিএসইর ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার কোটির টাকা বেশি। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব 

গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩ হাজার ১৬৯ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৩০১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ৬৬ লাখ ২৪ হাজার টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ৩৯৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮ হাজার ৭০ টাকার বা ১৪.৩৮ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহের ব্যবধানে ১৪৬ দশমিক ০১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ডিএসই-৩০ মূল্য সূচক। গত সপ্তাহে বাজার মূলধনের শীর্ষ৩০  কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে  ৫৫ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে নেমেছে। অন্যদিকে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৬.৮৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ২৯৭টির। আর ২৪টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

অন্যদিকে ডিএসইতে বাজার মূলধনেও নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।সপ্তাহ শুরুর আগে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ০৩ হাজার ১১৯ কোটি ০৪ লাখ ৬৬ হাজার ০০৮ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৯২ হাজার ১১৩ কোটি ০৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪২১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ১১ হাজার ০০৫ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকা কমেছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৩ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ১৮৭ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭০.৮২ পয়েন্ট বা ২.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৭.৫৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২২১.৪৩ পয়েন্ট বা ২.০৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৮৫.৬০ পয়েন্ট বা ২.৭৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২৪.৪৭ পয়েন্ট বা ১.৮৬ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৫.০৯ পয়েন্ট বা ২.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৫৪২.৬৯ পয়েন্টে, ১২ হাজার ৯৬৬.৭৫ পয়েন্টে, এক হাজার ২৯৩.২৭ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১০৮.১৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬২টির বা ১৮.১৮ শতাংশের দর বেড়েছে, ২৬১টির বা ৭৬.৫৪ শতাংশের কমেছে এবং ১৮টির বা ৫.২৮ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

ঢাকা/টিএ