ডিভিডেন্ড নিয়ে নয়-ছয় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের

- আপডেট: ১০:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৫০০ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ ঘোষিত ডিভিডেনড নিয়ে নয়-ছয় করেছে বলে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এছাড়া শ্রমিকদের জন্য ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা হলেও তা বিতরণ না করে প্রতারণা করেছে। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছে নিরীক্ষক।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
নিরীক্ষক জানিয়েছে, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের পরে ৩০ দিনের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। আর পর্ষদের ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে সমপরিমাণ নগদ লভ্যাংশ পৃথক ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে।
কিন্তু শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার নগদ লভ্যাংশ পৃথক ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেনি। এছাড়া অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে বিতরণ করেনি।
এদিকে নিরীক্ষা চলাকালীন সময় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার মধ্যে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ডিভিডেন্ড বিতরণ করেছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। এক্ষেত্রে ২ কোটি ৭৮ লাখ ২১ হাজার টাকার লভ্যাংশ অপ্রদানকৃত রয়েছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৪৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা হয়েছে। তবে ওই ফান্ড নির্ধারিত সময়ে বিতরন করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরণের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরণ না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আরএকে সিরামিকের লেনদেন বন্ধ কাল
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৪৮.৫২ শতাংশ। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ১৬.৯০ টাকা।
ঢাকা/টিএ