১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ১.০৬ শতাংশ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১০২৭৭ বার দেখা হয়েছে

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম তিন মাস পণ্য রপ্তানি বেড়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ধারাবাহিক কমছে। গেল অক্টোবর রপ্তানি আয় কমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে। পরের মাস নভেম্বরে কমেছে ৬ শতাংশ। সর্বশেষ গত মাস, অর্থাৎ ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে এক দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারী) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবিথেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অন্যদিকে ২০২২ সালে একই সময়ে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার, বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের অক্টোবরের পর থেকে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩–২৪) অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩৭৬ কোটি ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৮ কোটি ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কর কাঠামো পুনর্গঠন চান ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রপ্তানি আয়ে। রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। তৈরি পোশাক খাতের জন্য কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমার পাশাপাশি সার্বিক কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায়ও ছেদ পড়েছে। গেল ডিসেম্বরের জন্য কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৬২ কোটি ১০ লাখ ডলার। কিন্তু পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার যা কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা পণ্য রপ্তানি থেকে আয় করেছিল প্রায় ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএম

শেয়ার করুন

x

ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে ১.০৬ শতাংশ

আপডেট: ১০:০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম তিন মাস পণ্য রপ্তানি বেড়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ধারাবাহিক কমছে। গেল অক্টোবর রপ্তানি আয় কমে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ হয়েছে। পরের মাস নভেম্বরে কমেছে ৬ শতাংশ। সর্বশেষ গত মাস, অর্থাৎ ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে এক দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারী) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবিথেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গত ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় এসেছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। অন্যদিকে ২০২২ সালে একই সময়ে পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমেছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার, বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের অক্টোবরের পর থেকে দেশের রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩–২৪) অক্টোবরে রপ্তানি আয় ছিল ৩৭৬ কোটি ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৮ কোটি ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: কর কাঠামো পুনর্গঠন চান ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সার্বিক রপ্তানি আয়ে। রপ্তানি পণ্যের প্রায় ৮৫ শতাংশ দখল করে আছে তৈরি পোশাক খাত। জুলাই-ডিসেম্বর এই ছয় মাসে তৈরি পোশাক খাতে কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। তৈরি পোশাক খাতের জন্য কৌশলগত পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।

২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় কমার পাশাপাশি সার্বিক কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায়ও ছেদ পড়েছে। গেল ডিসেম্বরের জন্য কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৬২ কোটি ১০ লাখ ডলার। কিন্তু পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ডলার যা কৌশলগত রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা পণ্য রপ্তানি থেকে আয় করেছিল প্রায় ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার।

ঢাকা/এসএম