০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

ডেঙ্গু কিট আমদানিতে থাকছে না কর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৪:১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১০২১০ বার দেখা হয়েছে

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এর কিট আমদানিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি (করমুক্ত আমদানি) সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা নতুন অর্থবছরেও অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নেবে সরকার

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি প্রতিবছরই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ডেঙ্গু কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য ইতোপূর্বে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যা ২০১৯ সালে বাতিল হয়ে যায়। ফলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের আওতায় অব্যাহতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানি করা যাচ্ছে না। তাই ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানির লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রস্তাব করছি।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অঙ্কের এ বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ডেঙ্গু কিট আমদানিতে থাকছে না কর

আপডেট: ০৪:১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এর কিট আমদানিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি (করমুক্ত আমদানি) সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা নতুন অর্থবছরেও অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আরও পড়ুন: সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নেবে সরকার

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি প্রতিবছরই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ডেঙ্গু কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য ইতোপূর্বে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যা ২০১৯ সালে বাতিল হয়ে যায়। ফলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের আওতায় অব্যাহতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানি করা যাচ্ছে না। তাই ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানির লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রস্তাব করছি।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অঙ্কের এ বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

ঢাকা/এসএইচ