০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

ডেঙ্গু নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
  • / ১০২৮৩ বার দেখা হয়েছে

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অতিবর্ষণজনিত কারণে বন্যার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর বিস্তার। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ এ বছর মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডাব্লিউএইচওর কন্ট্রোল অব নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. রমন ভেলাইউধান বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ২২ বছরে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হার বেড়েছে আটগুণ এবং চলতি বছর তা আরও বাড়তে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বৃষ্টিবহুল ও উষ্ণ অঞ্চলগুলোতে অকল্পনীয় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগটি। বর্তমানে এই রোগটির বিস্তার রোধ করা না গেলে চলতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হবেন। সামনের দিন গুলোতে হয়তো ডেঙ্গুকে মহামারিও ঘোষণা করতে পারি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুসারে বর্তমানের বিশ্বের ১২৯টি দেশে ৫২ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের। আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পেরুতে এই রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’

ডব্লিউএইচওর কাছে আক্রন্ত রোগীদের যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তাতে অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গে ভুগছেন। অনেকের আবার দেহে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নেমে গেছে। এই আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১ শতাংশ মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা দূর করার উপায়

ডেঙ্গুর বিস্তারের জন্য প্রয়োজন উষ্ণ আবহাওয়া। এডিস নামের যে জাতের মশা এই রোগের প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় এই মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।

সংবাদ সম্মেলনে বলেন ডা. রমন ভেলাইউধান বলেন, ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই রোগটি ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে হবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

ডেঙ্গু নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

আপডেট: ১২:৩৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অতিবর্ষণজনিত কারণে বন্যার প্রকোপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গুর বিস্তার। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ এ বছর মশাবাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ডাব্লিউএইচওর কন্ট্রোল অব নেগলেক্টেড ট্রপিক্যাল ডিজিজ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. রমন ভেলাইউধান বলেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গত ২২ বছরে বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হার বেড়েছে আটগুণ এবং চলতি বছর তা আরও বাড়তে পারে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বৃষ্টিবহুল ও উষ্ণ অঞ্চলগুলোতে অকল্পনীয় দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগটি। বর্তমানে এই রোগটির বিস্তার রোধ করা না গেলে চলতি বছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হবেন। সামনের দিন গুলোতে হয়তো ডেঙ্গুকে মহামারিও ঘোষণা করতে পারি আমরা।

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুসারে বর্তমানের বিশ্বের ১২৯টি দেশে ৫২ লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের। আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে এবং পেরুতে এই রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’

ডব্লিউএইচওর কাছে আক্রন্ত রোগীদের যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তাতে অধিকাংশ রোগীই আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বর, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতি উপসর্গে ভুগছেন। অনেকের আবার দেহে কোনো উপসর্গ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট আশঙ্কাজনক পর্যায়ে নেমে গেছে। এই আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১ শতাংশ মারা গেছেন।

আরও পড়ুন: অনিয়মিত পিরিয়ড ও ব্যথা দূর করার উপায়

ডেঙ্গুর বিস্তারের জন্য প্রয়োজন উষ্ণ আবহাওয়া। এডিস নামের যে জাতের মশা এই রোগের প্রধান বাহন হিসেবে কাজ করে, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় এই মশার বংশবৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে উপযোগী।

সংবাদ সম্মেলনে বলেন ডা. রমন ভেলাইউধান বলেন, ঘুমানোর সময়ে মশারির ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এই রোগটি ঠেকানোর সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হলো এডিস মশা ও সেটির প্রজনন ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে হবে।

ঢাকা/এসএ