০৩:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

তথ্য প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩২৫ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের তথ্য প্রকাশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেই সংশ্নিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে তিনজন নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে কর্মকর্তাদের নিষেধ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ বিভাগে সাংবাদিকদের প্রবেশ আটকাতেও নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরিদর্শন বা পর্যালোচনার মাধ্যমে অনিয়ম উদ্ঘাটন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠান। তবে উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হলে ছাড় দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই তথ্য প্রকাশ না হয়, সেজন্য অধস্তনদের সতর্ক করছেন।

সার্বিক বিষয়ে বক্তব্যের জন্য কয়েকজন সাংবাদিক গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে যান। তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। গতকাল টেলিফোনে তিনি গণমাধ্যমেকে বলেন, মুখপাত্রের বাইরে কেউ গণমাধ্যমে বক্তব্য দেবেন না। যে কারণে হয়তো সতর্ক করা হয়েছে। মুখপাত্রের বাইরে কেউ তো বক্তব্য দেন না- এ প্রতিবেদকের এমন পর্যবেক্ষণের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য যায় না। বিভিন্ন ব্যাংক থেকেও অনেক ক্ষেত্রে তথ্য যেতে পারে। ফলে যাঁদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে, তাঁদের বক্তব্য পাওয়ার পর বিষয়টির সমাধান হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে গত ১২ জুলাই যোগদান করেন সাবেক অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। তাঁর যোগদানের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেউ যাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেন, সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সতর্ক করা হচ্ছে। একজন ডেপুটি গভর্নর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হালনাগাদ তথ্য যাতে প্রকাশ না পায়, সে বিষয়ে খুবই সক্রিয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কেউ কেউ চাইছেন, কোনো অনিয়মের তথ্য প্রকাশ না হোক। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য আড়াল করারও নানা চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক খাতের সংস্কার: বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

x

তথ্য প্রকাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি

আপডেট: ১২:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ব্যাংক খাতের তথ্য প্রকাশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে বিভিন্ন অনিয়ম এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেই সংশ্নিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হচ্ছে। গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে তিনজন নির্বাহী পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে কর্মকর্তাদের নিষেধ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ বিভাগে সাংবাদিকদের প্রবেশ আটকাতেও নানা কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন পরিদর্শন বা পর্যালোচনার মাধ্যমে অনিয়ম উদ্ঘাটন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিবেদন পাঠান। তবে উচ্চপর্যায়ে যাওয়ার পর কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হলে ছাড় দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা যাতে কোনোভাবেই তথ্য প্রকাশ না হয়, সেজন্য অধস্তনদের সতর্ক করছেন।

সার্বিক বিষয়ে বক্তব্যের জন্য কয়েকজন সাংবাদিক গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলামের কাছে যান। তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। গতকাল টেলিফোনে তিনি গণমাধ্যমেকে বলেন, মুখপাত্রের বাইরে কেউ গণমাধ্যমে বক্তব্য দেবেন না। যে কারণে হয়তো সতর্ক করা হয়েছে। মুখপাত্রের বাইরে কেউ তো বক্তব্য দেন না- এ প্রতিবেদকের এমন পর্যবেক্ষণের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য যায় না। বিভিন্ন ব্যাংক থেকেও অনেক ক্ষেত্রে তথ্য যেতে পারে। ফলে যাঁদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে, তাঁদের বক্তব্য পাওয়ার পর বিষয়টির সমাধান হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে গত ১২ জুলাই যোগদান করেন সাবেক অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। তাঁর যোগদানের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। পরে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেউ যাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেন, সেজন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সতর্ক করা হচ্ছে। একজন ডেপুটি গভর্নর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হালনাগাদ তথ্য যাতে প্রকাশ না পায়, সে বিষয়ে খুবই সক্রিয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে কেউ কেউ চাইছেন, কোনো অনিয়মের তথ্য প্রকাশ না হোক। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য আড়াল করারও নানা চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ব্যাংক খাতের সংস্কার: বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা/টিএ