০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অনিয়ম

তদন্তে নেমেছে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / ১০৩৭৫ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অসংগতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৭ মে জারি করা এক আদেশে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান, উপপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ এবং ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার বদরুল ইসলামকে।

তদন্তে ২০২৪ সালের অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়াও ব্যবসায়িক কার্যক্রম, সম্পদ ও দায়, শেয়ারহোল্ডারদের মূলধন, নগদপ্রবাহ এবং আর্থিক বিবরণীর আইএএস, আইএফআরএস ও আইএসএ-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি কোম্পানিটির প্ল্যান্ট ও মেশিনারি, ভূমি, ভবন ইত্যাদির মালিকানা ও প্রকৃত অস্তিত্বও পর্যালোচনা করা হবে।

উল্লেখযোগ্য, টানা দুই অর্থবছরে (২০২৩ ও ২০২৪) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি ফু-ওয়াং ফুডস। সর্বশেষ ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাত্র ০.৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটি। আর ২০২৫ সালের মার্চ শেষে কোম্পানিটির ৯ মাসের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

এছাড়া, কোম্পানিটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুনের বিরুদ্ধে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে।

এর আগে ২০১৭ সালে এমারেল্ড অয়েল অধিগ্রহণের পর ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ফু-ওয়াং ফুডসের ৭.৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় মিনোরি বাংলাদেশ। তবে এই মালিকানা পরিবর্তনের পরও কোম্পানিটি আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়। উল্টো, বিএসইসির নিয়ম অনুসারে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও।

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল টির প্লেসমেন্ট শেয়ার সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি

ফু-ওয়াং ফুডস ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এর পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে কোম্পানিটির মাত্র ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮২.৫৭ শতাংশ শেয়ার।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অনিয়ম

তদন্তে নেমেছে বিএসইসি

আপডেট: ১১:৩০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অসংগতি ও অনিয়ম অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৭ মে জারি করা এক আদেশে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান, উপপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ এবং ডিএসইর ডেপুটি ম্যানেজার বদরুল ইসলামকে।

তদন্তে ২০২৪ সালের অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়াও ব্যবসায়িক কার্যক্রম, সম্পদ ও দায়, শেয়ারহোল্ডারদের মূলধন, নগদপ্রবাহ এবং আর্থিক বিবরণীর আইএএস, আইএফআরএস ও আইএসএ-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা যাচাই করা হবে। পাশাপাশি কোম্পানিটির প্ল্যান্ট ও মেশিনারি, ভূমি, ভবন ইত্যাদির মালিকানা ও প্রকৃত অস্তিত্বও পর্যালোচনা করা হবে।

উল্লেখযোগ্য, টানা দুই অর্থবছরে (২০২৩ ও ২০২৪) শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি ফু-ওয়াং ফুডস। সর্বশেষ ২০২২ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মাত্র ০.৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল কোম্পানিটি। আর ২০২৫ সালের মার্চ শেষে কোম্পানিটির ৯ মাসের শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

এছাড়া, কোম্পানিটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুনের বিরুদ্ধে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও উঠেছে।

এর আগে ২০১৭ সালে এমারেল্ড অয়েল অধিগ্রহণের পর ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ফু-ওয়াং ফুডসের ৭.৬১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় মিনোরি বাংলাদেশ। তবে এই মালিকানা পরিবর্তনের পরও কোম্পানিটি আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়। উল্টো, বিএসইসির নিয়ম অনুসারে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও।

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল টির প্লেসমেন্ট শেয়ার সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি

ফু-ওয়াং ফুডস ২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এর পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৮ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪টি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উদ্যোক্তাদের কাছে রয়েছে কোম্পানিটির মাত্র ৭.৮৫ শতাংশ শেয়ার। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮২.৫৭ শতাংশ শেয়ার।

ঢাকা/টিএ