এনার্জিপ্যাক নিয়ে শেয়ার কারসাজি
তদন্ত প্রতিবেদনেও কারসাজির অভিযোগ!

- আপডেট: ১০:৪১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১০৬১৯ বার দেখা হয়েছে
পুঁজিবাজারে চলছে বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক রক্তক্ষরণ। এমন অস্থিরতার মধ্যেও প্রতিদিনই চলছে একাধিক কোম্পানির শেয়ার নিয়ে বড় বিনিয়োগকারীদের কারসাজি। এসব কারসাজির মধ্যে হাতে গোনা দুই-একটা কারসাজিতে যুক্ত রাগব-বোয়ালদের ধরতে করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই তদন্ত কমিটির সদস্যরাও কারসাজিকারীর রাগব-বোয়ালদের বাঁচাতে করেন কারসাজির প্রতিবেদন। তেমনি একটি কোম্পানির কারসাজির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটি হলো এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা এনার্জিপ্যাকের শেয়ার দাম মাত্র ১২ কর্মদিবসে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এ সময় কোম্পানিটির দৈনিক লেনদেনও বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। কোম্পানিটির শেয়ার দামে ও লেনদেনে হঠাৎ এমন পরিবর্তনের পেছনে মৌলিক কোনো কারণ নেই বলে অনেকেই মনে করছেন; বরং গুঞ্জন রয়েছে যে, একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বাজারে পরিকল্পিতভাবে শেয়ারটি দামের বৃদ্ধি ঘটিয়ে মুনাফা আদায় করেছে।
এরই প্রেক্ষিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত পরিচালনা করে। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে বড় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। যেখানে তিনটি সন্দেহজনক বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার) হিসাবের তথ্য বাদ দেও্রয়া হয় এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনের তথ্যও অনুপস্থিত রাখে। এসব কারণে বাংলাদেশের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির কারসাজির তথ্য অনুসন্ধানে নতুন তদন্ত পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়।
বিএসইসি মনে করেছে, ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদনটি ঘাটতিপূর্ণ। কমিশন সম্প্রতি ডিএসইর সিআরওকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তদন্ত প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা দেয়নি এবং বিও হিসাবগুলোর ভূমিকা অনুপস্থিত। ফলে বিএসইসি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২৯ জানুয়ারি এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের শেয়ার দাম ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা, যা মাত্র ১২ দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকায়। শেয়ার লেনদেনও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে; উদাহরণস্বরূপ, ২৮ জানুয়ারির ৮৪ হাজার থেকে ৪ ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখেরও বেশি, যা প্রদর্শন করছে যে বাজারে সম্ভবত মনোপলির খেলা চলছে।
আরও পড়ুন: ১০ কোম্পানির বোর্ড সভা আজ
বিএসইসি বলেছে, এমন ধরনের দাম বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক লেনদেনের তদন্তে কোনো ধরনের গাফিলতি বা তথ্য গোপন সহ্য করা হবে না। কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন, তদন্তে সব প্রশ্নের উত্তর থাকতে হবে এবং দায় নির্ধারণ ও শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/টিএ