তামহা সিকিউরিটিজের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ

- আপডেট: ১০:৫১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
- / ১০৩১৬ বার দেখা হয়েছে
বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুরোধের সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তামহা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। মুলত, বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্রোকারেজ হাউজটির মালিকদের ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করেছে বিএফআইইউ। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তামহা সিকিউরিটিজের মালিকদের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএফআইইউ’র এমন সিদ্ধান্তের ফলে ব্রোকারেজ হাউজটির মালিকরা তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলতে বা স্থানান্তর করতে পারেন না।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারা এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তামহা সিকিউরিটিজের (ট্রক নং-০৮১) লেনদেন স্থগিত করে দেয় ডিএসই। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর থেকে তামহা সিকিউরিটিজে লেনদেন বন্ধ ছিল। ডিএসইর কর্মকর্তাদের সরেজমিন তদন্তেও বোকারেজ হাউজটি বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
ইতোমধ্যে ডিএসই’র ওয়েবসাইটে তামহা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, বিনিয়োগকারীদে স্বার্থে তামহা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন বা ব্যবসা পরিচালনা এবং ডিপি সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এ অবস্থায় উক্ত ট্রেকহোল্ডার কোম্পানির গ্রাহকরা চাইলে তামহা সিকিউরিটিজের ডিপিতে থাকা নিজ নিজ নামের শেয়ার অন্য কোনো ট্রেকহোল্ডার কোম্পানিতে লিংক অ্যাকাউন্ট খুলে ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারবে।
এক্ষেত্রে সিডিবিএল ফরম ১৬-১, ১৬-২ যথাযথ পূরণ করে সিডিবিএল থেকে সংগৃহীত ডিপিএ-৬ রিপোর্টসহ ডিএসই’র নিকুঞ্জ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। এছাড়া তামহা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে অন্য কোনো অভিযোগ থাকলেও তা ডিএসইকে জানাতে আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামহা সিকিউরিটিজকে জরিমানা করে বিএসইসি। গত বছরের মার্চ মাসেও সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত আইন মেনে চলতে ব্রোকারেজ হাউজটিকে সতর্কপত্র দিয়েছিল বিএসইসি।
ঢাকা/কেএম