০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

দাম নির্ধারণে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কমেছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:২৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০২৫৩ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডলারের দাম নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে উত্তাপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সোমবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কমেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানির জন্য ডলারের দামও কিছুটা কমেছে। তবে তা ১৫ থেকে ২০ পয়সা কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, এক সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দাম আরও কিছুটা কমে আসবে। বাড়তি দামেই ডলারের বাজার পর্যায়ক্রমে স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এদিকে নতুন দর পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। বিশেষ করে রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তারা সে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

সূত্র জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দর কার্যকর হওয়ার পর বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। এ অস্থিরতা এখনো কাটেনি। তবে এর মধ্যে বাড়তি দামেই বাজার স্থিতিশীল হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছিল। এ দিন সর্বনিম্ন দর ছিল ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা। এর পর থেকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর দুটোই কমতে থাকে। বোববার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর একই হয়। অর্থাৎ এদিন ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। সোমবারও ওই দরেই আন্তঃব্যাংকে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। তবে সকালের দিকে সর্বনিম্ন ১০৫ টাকা ৪০ পয়সায়ও কিছুটা লেনদেন হয়।

এদিকে আমদানির জন্য ডলারের দাম ব্যাংকগুলোয় কিছুটা কমেছে। ব্যাংকভেদে ১৫ থেকে ২০ পয়সা কমেছে। এবি ব্যাংক সোমবারও সর্বনিম্ন ১০০ টাকা ৫৭ পয়সা দামে ডলার বিক্রি করেছে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে বিক্রি করেছে। অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলো এখনো বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী ডলারের রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্স কেনার এ দুই দরের মধ্যকার গড় দর হবে আমদানির জন্য ডলারের দাম। বর্তমানে বাফেদার নির্ধারিত রপ্তানি বিলের দর ৯৯ টাকা। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্সে কেনার দর ১০৮ টাকা। এই দুই দরের মধ্যবর্তী দর হচ্ছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু এই দরে আন্তঃব্যাংকেও ডলার বিক্রি হচ্ছে না। ফলে আমদানির ক্ষেত্রেও এই দরে ডলার মিলছে না বেশির ভাগ ব্যাংকে। তবে বাফেদা আশা করছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে নেমে আসবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যে ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ টাকা হতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তঃব্যাংক দামের চেয়ে আমদানির জন্য ডলারের দাম ৫ পয়সা বেশি হতে পারবে। নির্দেশনাটি আগে কার্যকর হলেও এখন আর কার্যকর হচ্ছে না। কেননা একেক ব্যাংক একেক দামে রেমিট্যান্স কিনছে। এক্ষেত্রে দর ১০০ টাকা থেকে ১০৮ টাকা রয়েছে। ফলে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম একই অবস্থায় শিগগিরই ফিরছে না। এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে। একই সঙ্গে বাজারে অস্থিরতা থেকে যাবে।

আরও পড়ুন: আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

দাম নির্ধারণে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কমেছে

আপডেট: ০৬:২৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: ডলারের দাম নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে উত্তাপ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সোমবার আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম কমেছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানির জন্য ডলারের দামও কিছুটা কমেছে। তবে তা ১৫ থেকে ২০ পয়সা কমেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, এক সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দাম আরও কিছুটা কমে আসবে। বাড়তি দামেই ডলারের বাজার পর্যায়ক্রমে স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এদিকে নতুন দর পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। বিশেষ করে রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দাম বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে, তারা সে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

সূত্র জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন দর কার্যকর হওয়ার পর বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। এ অস্থিরতা এখনো কাটেনি। তবে এর মধ্যে বাড়তি দামেই বাজার স্থিতিশীল হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছিল। এ দিন সর্বনিম্ন দর ছিল ১০২ টাকা ৩৭ পয়সা। এর পর থেকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দর দুটোই কমতে থাকে। বোববার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর একই হয়। অর্থাৎ এদিন ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। সোমবারও ওই দরেই আন্তঃব্যাংকে ডলার বেচাকেনা হয়েছে। তবে সকালের দিকে সর্বনিম্ন ১০৫ টাকা ৪০ পয়সায়ও কিছুটা লেনদেন হয়।

এদিকে আমদানির জন্য ডলারের দাম ব্যাংকগুলোয় কিছুটা কমেছে। ব্যাংকভেদে ১৫ থেকে ২০ পয়সা কমেছে। এবি ব্যাংক সোমবারও সর্বনিম্ন ১০০ টাকা ৫৭ পয়সা দামে ডলার বিক্রি করেছে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে বিক্রি করেছে। অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলো এখনো বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে।

নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী ডলারের রপ্তানি বিল ও রেমিট্যান্স কেনার এ দুই দরের মধ্যকার গড় দর হবে আমদানির জন্য ডলারের দাম। বর্তমানে বাফেদার নির্ধারিত রপ্তানি বিলের দর ৯৯ টাকা। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্সে কেনার দর ১০৮ টাকা। এই দুই দরের মধ্যবর্তী দর হচ্ছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু এই দরে আন্তঃব্যাংকেও ডলার বিক্রি হচ্ছে না। ফলে আমদানির ক্ষেত্রেও এই দরে ডলার মিলছে না বেশির ভাগ ব্যাংকে। তবে বাফেদা আশা করছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম ১০৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে নেমে আসবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যে ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ টাকা হতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তঃব্যাংক দামের চেয়ে আমদানির জন্য ডলারের দাম ৫ পয়সা বেশি হতে পারবে। নির্দেশনাটি আগে কার্যকর হলেও এখন আর কার্যকর হচ্ছে না। কেননা একেক ব্যাংক একেক দামে রেমিট্যান্স কিনছে। এক্ষেত্রে দর ১০০ টাকা থেকে ১০৮ টাকা রয়েছে। ফলে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম একই অবস্থায় শিগগিরই ফিরছে না। এতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে। একই সঙ্গে বাজারে অস্থিরতা থেকে যাবে।

আরও পড়ুন: আবারও ঊর্ধ্বমুখী ডিমের দাম

ঢাকা/এসএ